Date : 2024-03-29

পরিবেশবান্ধব যান ট্রামের সংখ্যা কমছে। তবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে ট্রামের চালকও।

শাহিনা ইয়াসমিন রিপোর্টার : কলকাতা বিশ্বের দরবারে বিশিষ্ট তার বৈচিত্রময় ঐতিহ্যের জন্যই। শিল্প, সাহিত্য, স্থাপত্য, সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে এই শহরের অবদান স্বীকার করেছে বিশ্ব। কলকাতার মানুষ পুরানোকে বর্জন না করে আপন করে নেন আশ্চর্য মমতায়। এই কথা কলকাতার ট্রাম সম্পর্কে বলাই চলে। তবে আজ ক্রমশ কমছে ট্রামের সংখ্যা। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে ট্রামের চালকও।

এক সময় সে ছিল কলকাতার গর্ব। আজ তা পরিণত হয়েছে দুয়োরানিতে। অগণিত গাড়ি উপচে পড়ছে কলকাতার রাস্তায়। তা সত্ত্বেও যানজটের দায় একতরফা ভাবে ঘাড়ে চাপিয়ে ট্রাম পরিষেবাকে কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিবেশবান্ধব যান ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়। বিভিন্ন ডিপোয় ট্রামের সংখ্যা অনেকটায় কমে গিয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটা ট্রাম ব্যবহৃত হলেও বেশ কিছু ট্রাম অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ডিপোতে। পাল্লা দিয়ে কমছে ট্রামের চালকের সংখ্যাও। কয়েক বছর পরে চালক খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে দাবি ট্রাম চালকদের। তবে ট্রাম প্রেমী ডঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য মনে করেন ইচ্ছা করে চালক নিয়োগ করা হচ্ছে না। টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট-এসপ্ল্যানেড, শ্যামবাজার-এসপ্ল্যানেড রুটে ট্রাম চলে। এসপ্ল্যানেড থেকে খিদিরপুর রুটে ট্রাম চলাচলের কাজ শুরু হয়েছে। বেলগাছিয়া, বিবাদীবাগ, হাওড়া, রাজাবাজার সহ বেশ কিছু রুটে ট্রাম কবে চলবে তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।
ট্রামের এই পুরো ব্যবস্থার জন্য পরিবহণ দফতরকে দায়ী করলেন দেবাশিসবাবু। আগে ট্রাম চালকের ক্ষেত্রে তিন-চারটে জেনারেশন কাজ করত। এখন ট্রামের ক্ষেত্রে বয়স্ক চালকদের দেখা যায় বেশিরভাগ। কয়েকবছর ধরে নতুন চালক নিয়োগ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ট্রাম চালকদের একাংশের। ট্রাম চালকের সংখ্যা কমার কথা সরাসরি মানতে নারাজ পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি রুটে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত চালক রয়েছে। ভবিষ্যতে চালক তৈরির পথও খোলা রয়েছে।