Date : 2024-04-17

বসিরহাটের মাটিয়ার নির্যাতিতা অত্যধিক ট্রমায় – হাসপাতালের তরফে নেওয়া হল বিশেষ ব্যবস্থা

সায়ান্তিকা ব্যানার্জি, রিপোর্টার : একটা বাচ্চা মেয়ে, যে বয়সে সমবয়সীদের সঙ্গে খেলে পড়াশোনা করে বড় হচ্ছিল সেই বয়সেই তার জীবনে নেমে এল একটা মস্ত বড় আঘাত। নির্মম ভাবে ধর্ষণ করা হল বসিরহাটের মাটিয়ার ১১ বছরের মেয়েটিকে। তার আঘাতের মাত্রা দেখে চিকিৎসকরা বলছেন ফিরে এসেছে নির্ভয়া কান্ডের স্মৃতি। এই মুহুর্তে কলকাতার এক সরকারি হাসপাতালে ভর্তি সে। তার মনের ক্ষত অনেক অনেক বেশি তাই তাকে সারিয়ে তুলতে হাসপাতালের তরফে নেওয়া হল বিশেষ ব্যবস্থা।

হাসপাতাল সূত্রে খবর মাটিয়া রনির্যাতিতা ভীষণ রকম ট্রমার মধ্যে রয়েছে আর তাই তার মানসিক স্বাস্থ্যের দ্রুত উন্নতি দরকার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাই পিকু ইউনিটকে সাজিয়ে তোলা হল বাচ্চাটির মনের মত করে।

তার খাটের পাশে এবং কেবিন জুড়ে রাখা হয়েছে পুতুল। যাতে প্রলেপ পড়ে তার মনের ক্ষততে। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে সবসময় পাশে রাখা হচ্ছে মা কে। কারণ মা তার প্রিয় বন্ধু। তাই মা তাকে তার বাড়ি এবং স্কুল এবং বন্ধুদের গল্প শোনাচ্ছেন। যাতে করে তার মন ভালো থাকে। এছাড়াও বাড়ির মত করে চুল বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে চিকিৎসকরা চাইছেন একেবারে বাড়ির মত পরিবেশ অনুভব করাতে। যাতে বাচ্চা মেয়েটির ওই ভয়াবহ স্মৃতি আর মনে না আসে।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন তার ক্ষুদ্রান্ত্রের চোটের স্বল্প উন্নতি হয়েছে। শারীরিক বিভিন্ন প্যারামিটার আগের তুলনায় স্থিতিশীল। আর তাই ট্রমা কাটাতেই এই সব বন্দোবস্ত। তাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে আজ থেকে তার চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের বদলে বোর্ডে আনা হল আরও ৫ জনকে। সব মিলিয়ে এবার ১০ সদস্য চিকিৎসা করবেন বাচ্চা মেয়েটির।