Date : 2024-04-23

রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রাণ গেল এক ভারতীয় পড়ুয়ার

মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রাণ গেল এক ভারতীয় পড়ুয়ার। খারকিভে মঙ্গলবার প্রবল গোলাবর্ষণ করে রুশ সেনা। তাতেই প্রাণ গেল এক ভারতীয় মেডিক্যাল ছাত্রের। মৃত বছর 21এর পড়ুয়া কর্ণাটকের হাভেরি জেলার বাসিন্দা। নবীনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অব্যাহত। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে একের পর এক বিল্ডিং, সেতু সহ বিভিন্ন কাঠামো ।   প্রাণ হারাচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। সেই তালিকায় এবার চলে এল এক ভারতীয় মেডিক্যাল ছাত্রের নাম। মৃত কর্ণাটকের হাভেরির বাসিন্দা নবীন শেখরাপ্পা ফাইনাল ইয়ারের মেডিক্যাল পড়ুয়া। মঙ্গলবার খারকিভে একটি সরকারি বিল্ডিংয়ে হামলা চালায় রুশ সেনা। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে 11জনের। গভর্নর হাউজের কাছেই থাকতেন নবীন।  বিস্ফোরণের সময় স্থানীয় মুদি দোকান থেকে খাবার কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই  বিস্ফোরণে  প্রাণ হারান বছর 21-এর ওই মেডিক্যাল পড়ুয়া। সেসময় নবীনের হাত থেকে ছিটকে পড়ে তার মোবাইল ফোনটি। পরে তার ফোন ধরেন এক ইউক্রেনীয় মহিলা। সেজন্যই নবীনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করে জানান,

মঙ্গলবার সকালে খারকিভে প্রবল শেল বর্ষণ হয়েছে। তাতেই মৃত্যু হয় এক ভারতীয় ছাত্রের। তার আত্মীয়দের প্রতি সমবেদনা জানাই। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিদেশমন্ত্রক। খারকিভ সহ যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরগুলিতে যে ভারতীয়রা আটকে পড়েছেন, তাঁদেরকে অবিলম্বে নিরাপদ নিষ্কাশনের পথ দিতে ফের রাশিয়া ও ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিদেশ সচিব।

খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন নবীনের পরিবারের সদস্যরা। সমবেদনা জানাতে তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে নবীনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এরইমধ্যে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে বক্তৃতা রাখেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আবেগঘণ হয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনের সমস্ত শহরকে ঘিরে ফেললেও আমরা আমাদের দেশ ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি। কেউ ভাঙতে পারবে না আমাদের। বক্তৃতার পর দাঁড়িয়ে পড়ে জেলেনস্কিকে সম্মান জানান পার্লামেন্টের সদস্যরা।

প্রেসিডেন্টের মতো ইউক্রেনীয়রাও রুশ সেনার সামনে কড়া মনেভাব দেখিয়েছেন। জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রুশ সাঁজোয়া গাড়িকে মাঝপথেই আটকে দেন বাসিন্দারা।