প্রবীর মুখার্জি ঃ কলকাতার তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। তীব্র দাবদাহ রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে। যদিও উত্তরবঙ্গবাসীর ভাগ্য কিছুটা ভালো। কারণ, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় নিয়ম করেই হচ্ছে বৃষ্টি। যাই হোক্, আবহাওয়ার খবরটা না জানালেই নয়। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না মানুষ। তবে থেমে নেই প্রেম। কিন্তু, প্রশ্ন হল এই গরমে ভরদুপুরে কোথায় যাবে প্রেমিক-প্রেমিকারা..?
ইচ্ছা যদি থাকে, তবে উপায়ও খুঁজে বের করে নেওয়া যায় বৈকি। দুপুরে কলেজ কেটে যাওয়া যেতেই পারে, বাবুঘাট বা বাগবাজার ঘাটে। উত্তর কলকাতার বাগবাজারে গঙ্গার ঘাটে বসে একটার পর একটা লঞ্চ আর সূর্যদেবের প্রখর তাপে গঙ্গার জলে ঢেউগুলির ঝিলিক দেখতে দেখতে কখন যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাবে, বুঝতেই পারা যাবে না। সঙ্গে যদি থাকে বাদাম ভাজা অথবা ঘটি গরম। জমে যাবে। পাশেই অগুন্তি চায়ের দোকান।গলা ভিজনোর উপযুক্ত পানীয়। ভুল করেও ঠাণ্ডা পানীয় নয়। বাবুঘাটেও একই দৃশ্য । তবে বাড়তি পাওনা পাশের বাগানটি। চক্ররেল চলে যাওয়ার আওয়াজ শুনতে শুনতেই সময় পার। সন্ধ্যায় ফুরফুরে হাওয়া তো আছেই। দুপুরে নন্দন নয়। পড়ন্ত বিকেলে নন্দন চত্ত্বরে পা রাখা যেতেই পারে।
তবে এসব প্রকৃতির মাঝে প্রেম। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের আস্বাদ নিতে যাওয়া যেতে পারে যে কোনও শপিং মল অথবা সিনেমা হলে। বেশ কয়েকঘণ্টা অনায়াসেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। কফি হাউসও মন্দ নয়। তবে এসি নেই সেখানে। তাতে কি, কত মানুষের কোলাহল শুনতে শুনতে আর তাদের দেখতে দেখতে কফির কাপে তুফান তুলে প্রেম,আজও নস্টালজিক করে তোলে। একটু উঁকিঝুঁকি দিলেই দেখা যাবে তিলোত্তমার বুকে তীব্র দাবদাহের মাঝেও প্রেমিকযুগলকে । আসলে প্রেম যে চিরন্তন। তা কি আর থেমে থাকে…..!