Date : 2024-04-19

আদালতের নির্দেশ মত বুধবার থেকেই ক্লাস করতে পারল সম্পূর্ণ স্কুল ফি না দিতে পারা পড়ুয়ারা

নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার ঃ হাইকোর্টের নির্দেশ মানল জি ডি বিড়লা সহ অশোকা গ্রুপের স্কুলগুলি। বুধবার থেকেই ক্লাস করতে পারল সম্পূর্ণ স্কুল ফি না দিতে পারা পড়ুয়ারাও। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেয় বেতন বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না।আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে বন্ধ রাখা যাবে না স্কুল। স্বাভাবিক ভাবে আদালতের রায়ে ধাক্কা খায় জি ডি বিড়লা সহ অশোকা গ্রুপের স্কুলগুলি। পূর্বের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বুধবার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যেখানে সব পড়ুয়াকেই স্কুলে আসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

৪এপ্রিল নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর প্রথম দিন সম্পূর্ণ স্কুল ফি দিতে না পারা পড়ুয়াদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের মধ্যে বচসা হয়। অভিভাবকেরা আদালতের দারস্থ হন। বেতন বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না ৬এপ্রিল আদালত এই নির্দেশ জারি করলে ৭এপ্রিল আইনশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল। তবে স্কুল বন্ধের একদিন পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে নোটিশ জারি করা হয়।যাতে বলা হয়, যারা সম্পূর্ণ ফি দিয়েছে তারাই একমাত্র স্কুলে আসতে পারবে। আর এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের একাংশ ফের আদালতের দারস্থ হন । তবে এবারও পড়ুয়া ও অভিভাবকদের পক্ষেই যায় আদালতের রায়। অর্থাৎ ফের আদালতে ধাক্কা খায় জি ডি বিড়লা স্কুল সহ অশোকা গ্রুপের স্কুলগুলি।

করোনার সংক্রমণ রুখতে প্রায় বছর দুই বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই অনলাইন ক্লাসের পাট চুকিয়ে স্কুলে ফিরেছেন পড়ুয়ারা। জি ডি বিড়লা সহ অশোকা গ্রুপের স্কুলগুলিতে নতুন শিক্ষাবর্ষে অফলাইনে পঠনপাঠন শুরু হয়। কিন্তু প্রথমদিনই স্কুল চত্ত্বরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সম্পূর্ণ স্কুল ফি না দেওয়ার অপরাধে এদিন জি ডি বিড়লা স্কুলে বেশকিছু পড়ুয়াকে ঢুকতে বাধা দওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা। সন্তানের সঙ্গে এহেন ব্যবহার হওয়ায় বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। স্কুল চত্বরেই চলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। করোনাকালে অনেকেই আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই জি ডি বিড়লার অনেক অভিভাবকেরই সম্পূর্ণ স্কুল ফি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বিচারের আসায় সেই সমস্ত অভিভাবকেরা আদালতের দ্বারস্থ হন। দায়ের হয় পিটিশান। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়, বেসরকারি স্কুলে ফি বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের ক্লাসে ওঠা আটকানো যাবে না। বাধা দেওয়া যাবে না ক্লাস করার ক্ষেত্রেও। আদালতের এই রায়ে নৈতিকভাবে জয় পান অভিভাবকরা। কিন্তু তবুও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। সম্পূর্ণ স্কুল ফি না দিতে পারা পড়ুয়াদের ক্লাস করতে দেওয়া হয় না। স্কুল চলছে অথচ ক্লাস করতে পারছিল না কিছু পড়ুয়া। সব চেয়ে সমস্যায় পড়েছিল দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশ মত সকল পড়ুয়াকে ক্লাস করার নোটিশ দিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলেই।