Date : 2024-04-18

গাংনাপুরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি!আদালত কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক ঃ মামলার বয়ান অনুযায়ী নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন নদিয়ার গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কামারবেড়িয়া গ্রামে নির্যাতিতা গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি। গত ৬ মার্চ রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। গণধর্ষণের পর গৃহবধূকে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই খবর ওই গৃহবধূর বাপের বাড়িতে পৌঁছয়। তাঁর বাবা এবং মা তড়িঘড়ি অটো নিয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছন। নির্যাতিতার মায়ের আইনজীবীর দাবি, তাঁরা দেখেন মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নির্যাতিতাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যোগ নিলেও দু’বার তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এরপর তাঁরা কোনওরকমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁদের মেয়েকে স্থানান্তরিত করা হয় একটি নার্সিংহোমে। ওই নার্সিংহোমে সাত দিন থাকার পর কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে গত ১৪ মার্চ দুপুরে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী আমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান গাংনাপুরে কোন গণধর্ষণ হয়নি।ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে।বনগাঁ থেকে বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
জামুরীয় কাছ থেকে এম্বুলেন্সে তাঁকে অন্য একটি গাড়িতে কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।৭ই মার্চ থেকে ১৪ই মার্চ কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।সেখানেই মৃত্যু হয়েছে।
কোন হাসপাতালে রিপোর্টে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি অভিযান চালিয়ে৫জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিচারপতি র দৃষ্টি আকর্ষণে জানান তাঁর আইনজীবী গাংনাপুর থানায় বারবার অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতার মা। তবে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেই দাবি তাঁর। এরপর গত ১৭ মার্চ ডাকযোগে গাংনাপুর থানার ওসি-সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তাতেও পুলিশের কোনও হেলদোল তারা দেখতে পাননি। বাধ্য হয়ে গত ২১এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করার পর পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন।পুলিশ কোন ভাবেই সহযোগিতা করেনি।নির্যাতিতার পরিবারকেউল্টে তাঁদের ভয় দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।

সরকারি আইনজীবী আর জানান ১৯জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে।৬জন কে পুলিশ ১৬১,জবানবন্দি নিয়েছেন।কেউ বলেননি এটা গণধর্ষণের ঘটনা।

প্রথমবারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে বিতর্কের কারণে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ পাশাপাশি ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক তদন্ত করতে হবে নির্দেশ ।
আগামী ১১ই মামলার পরবর্তী শুনানি।