Date : 2024-03-29

তীব্র গরমে কাহিল পশুপাখিরা। খাঁচার ভিতরে স্প্রিঙ্কলারের ব্যবস্থা। শিম্পাঞ্জিকে লস্যি, ভাল্লুককে দই-ভাত ।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:-তীব্র দাবদাহ দক্ষিণবঙ্গে। হাঁসফাঁস গরমে নাজেহাল জীবজন্তুও। আলিপুর চিড়িয়াখানায় পশুদের সুস্থ রাখতে খাঁচার ভিতর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন ডায়েট চার্ট করা হয়েছে পশুপাখিদের জন্য।


দাবদাহে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গবাসী। এপ্রিলমাসের শেষের দিকেও দেখা নেই কালবৈশাখীর। প্রচন্ড গরমে তাপে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দেখা মিললেও কলকাতাবাসীর চাতকের দশা। প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষের মতোই নাজেহাল আলিপুর চিড়িয়াখানার পোষ্যরা। পশু-পাখিদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পশু-পাখিদের খাঁচা ঠান্ডা রাখার জন্য লাগানো হয়েছে স্প্রিঙ্কলার। রাখা হয়েছে পাখা ও কুলারের ব্যবস্থা।

এমনকি কাঙারুর ঘরে লাগানো হয়েছে পাখা সহ কুলার। পোষ্যদের সুস্থ রাখতে যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা হল- পশু-পাখি, সরীসৃপ সকলের খাঁচায় স্প্রিঙ্কলার ও পাখা লাগানো হয়েছে। স্প্রিঙ্কলারের মধ্যে দিয়ে জল ঝর্ণার মতো পুরো খাঁচাকে ঠান্ডা রাখবে। এক থেকে দেড় ঘন্টা স্প্রিঙ্কলার চালানো হচ্ছে খাঁচা ঠান্ডা রাখার জন্য। ক্যাঙারুর মতো পশুদের জন্য কুলারের ব্যবস্থাও রয়েছে। পাখির খাঁচা ঠান্ডা রাখতে জল দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে সব খাঁচায় স্প্রিঙ্কলারের ব্যবস্থা নেই সেখানে শেড দেওয়া হয়েছে।

হাতির ঘরে থাকছে ফোয়ারার ব্যবস্থা। শরীর ঠান্ডা রাখতে এমু, অস্ট্রিচ পাখিদের স্নান করানো হচ্ছে। এ ছাড়া বাঘ, সিংহ, লেপার্ড, জাগুয়ারদেরও স্নান করানো হচ্ছে। এ ছাড়া খাঁচা লাগোয়া জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে পশু-পাখিরা চাইলেই শরীর ভিজিয়ে নিয়ে পারে। চিড়িয়াখানার আবাসিকদের সুস্থ রাখতে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন করা হয়েছে। চিকিতসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন ডায়েট চার্ট তৈরি করা হয়েছে। পোষ্যদের ডায়েট চার্টে রয়েছে-প্রত্যেক পশু-পাখিদের ওআরএস দেওয়া হচ্ছে। ভাল্লুকদের খাওয়ানো হচ্ছে দই-ভাত। শিপাঞ্জিকে লস্যি খাওয়ানো হচ্ছে। শীতকালে বাঘ, সিংহ সহ আমিষাশী পশুরা যে পরিমাণ মাংস খায়, গরমের জন্য তা অনেকটাই কমানো হয়েছে।

তরমুজ-শশা খাওয়ানো হচ্ছে শিপাঞ্জি ও পাখিদের। নিরামিষাশী পশুদের দেওয়া হচ্ছে রসালো ফল। এছাড়া অ্যান্টি ট্রেস ও ভিটামিন খাওয়ানো হচ্ছে। গরমে পশু-পাখিদের উপর রাখা হচ্ছে বিশেষ নজর। উনিশ-বিশ দেখলেই পশু চিকিতসকদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস কুমার সামন্ত। শীতকালে কচিকাঁচা সহ বিভিন্ন বয়সের দর্শকদের ভিড় বেশি দেখা যায়। কিন্তু গরমে দর্শকের ভিড় কম হয়। গরম কমলে বড়দের পাশাপাশি খুদে দর্শকদের ভিড় বাড়বে বলে আশাবাদী আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ।