মাম্পি রায়, নিউজ ডেস্ক ঃ গরমের হাত থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে ক্লাসগুলি সকালে এগিয়ে আনতে হবে। প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক সব স্তরে সকালে ক্লাস চালু করতে হবে। সকালে ক্লাস চালু করা না গেলে, স্বাস্থ্য অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে পড়ুয়াদের সুরক্ষায় যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে, নির্দেশিকা দিয়ে জানাল স্কুল শিক্ষা দফতর।
করোনার চোখরাঙানি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর স্কুলে যেতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। তবে গ্রীষ্মের দাবদাহ এবং তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুলে যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার দাবি উঠতে শুরু করেছে। সেই দাবি না মিটলেও গরমে যাতে পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারে এবং পড়াশোনায় কোনওরকম ঘাটতি না থাকে, সেজন্য ক্লাসগুলি সকালে এগিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী-
স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা
গরমে পড়ুয়াদের সুরক্ষায় নির্দেশিকা স্কুল শিক্ষা দফতরের
তাপপ্রবাহের হাত থেকে পড়ুয়াদের রেহাই দিতে,
সকালে এগিয়ে আনা হোক ক্লাসগুলি
প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে থেকে উচ্চ প্রাথমিক,
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সব স্তরে সকালে ক্লাস চালু করা হোক
পড়াশোনায় যাতে ঘাটতি না হয়, সমস্ত ক্লাস যাতে নির্দিষ্ট সময়ে হয়,
তা নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
সকালে ক্লাস চালু করা না গেলেও পড়ুয়াদের জন্য পদক্ষেপ
স্বাস্থ্য অফিসারদের কথা বলে যাবতীয় পদক্ষেপ করতে হবে
স্কুল শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন চিকিৎসক ও শিক্ষক মহলের একাংশ। তবে গরমের জেরে স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার অনেকটাই কমেছে বলে জানান বেগম রোকেয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুভলক্ষ্মী ভকত।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। তারপরই ক্লাসের পরীক্ষা শুরু। তাই এখনই গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে না আনাই ভালো, জানান প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, চন্দন মাইতি।
প্রবল দাবদাহের মধ্যে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং ওআরএসের ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এছাড়া যথাযথ বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থার নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে।