Date : 2024-04-26

নিরাপত্তা বলয়ে আবদ্ধ বালিগঞ্জ বিধানসভা

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রকে নিয়ে ইতিমধ্যেই নানান জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের নজরদারি থাকছে এই কেন্দ্রের ওপর।

রাত পোহালেই রাজ্যের দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার মধ্যে অন্যতম বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায়। পাশাপাশি কড়া নজরদারি রয়েছে কলকাতা পুলিশেরও। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ৭ টি থানা এলাকায় রয়েছে ৩০০ টি বুথ ও ১১৮ টি কেন্দ্র। সব মিলিয়ে মোতায়েন রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ কর্মী। কলকাতা সার্কিট হাউসে করা হয়েছে ক্যাম্প অফিস। ডিসি-আরসি সেন্টার ও ভোট গণনা কেন্দ্র করা হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট ট্রেনিং কলেজে। নির্বাচনের আগের দিন বেলা ১২টা থেকে থাকছে স্ট্রং রুমে কড়া নজরদারি। সিসিটিভি যেমন রয়েছে তেমনই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে স্ট্রং রুমে। নিরাপত্তা বলয়ে থাকছে ২৪ ঘন্টা ব্যাপী পুলিশি নজরদারি। নির্বাচনের দিন সকাল সাড়ে ৫টা থেকে প্রতি বুথের বাইরে মোতায়েন থাকবে পুলিশ কর্মীরা। বুথের ভিতরে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গড়ে প্রতি বুথে ১থেকে ৩ কোম্পানি সিএপিএফ মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনের ফলাফলের দিনও গণনাকেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা অব্দি মোতায়েন থাকবে পুলিশ। বালিগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনের সকাল থেকে ২২ টি সেক্টর মোবাইল, ২৩ টি আরটি মোবাইল ভ্যান থাকবে। থাকছে কুইক রেসপন্স টিম। নির্বাচনের আগের দিন থেকেই বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের প্রতি মোড়ে নাকা চেকিং থাকছে। থাকবে স্ট্যাটিক সার্ভাইলেন্স টিম থাকবে ৬ টি। ফ্লাইং স্কোয়াড থাকছে ৯টি। ৭ টি থানায় থাকবে স্টাইকিং ফোর্স। সাব ডিভিশন ফোর্স থাকবে ২টি। ১৯টি জায়গায় থাকবে পিকেটিং। ২ জন অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার, ৪জন জয়েন্ট সিপি, ১০ জন ডিসি ও ১৩ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার থাকছেন সমগ্র নির্বাচনের দায়িত্বে। ৩ টি মোবাইল ক্যান্টিন থাকছে লালবাজারের তরফ থেকে পুলিশ কর্মীদের জন্য। ডিসি-আরসি সেন্টারে মোতায়েন থাকবে ৪০ জন পুলিশ কর্মী। এঁদের মধ্যে থাকবেন একজন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী ও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী। এলাকায় ৬ টি এইচআরএফএসের প্রতিটিতে পুলিশ কর্মীরা ছাড়াও থাকবে একজন এসি ও একজন ওসি। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরকে রাখা হচ্ছে সেক্টর মোবাইল অফিসার হিসেবে। লালবাজার কন্ট্রোল রুম থেকে চলবে নজরদারি। সমস্ত দিক থেকে নজরদারি রাখা হচ্ছে এই কেন্দ্রের ওপর। যাতে কোনও ভাবে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়।