Date : 2024-04-19

পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, জেরায় উপস্থিত থাকবে অভিযুক্তের আইনজীবী

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: বেহালার চড়কতলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সহ ৭ জন। অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হলে পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ আনেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। শর্তসাপেক্ষে ধৃতদের ২০ তারিখ অব্দি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আলিপুর পুলিশ আদালতের।

বেহালার চড়ক তলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ৭। বেহালা থানা ও লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। হাওড়ার জয়পুরের ঝিকিরা এলাকা থেকে আটক করা হয় ৭ জনকে। পরে লালবাজারে নিয়ে এসে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এদিন আলিপুর পুলিশ আদালতে অভিযুক্তদের পেশ করা হলে পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিক মারধরের অভিযোগ আনেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। এই ঘটনায় আদালতে পিটিশন দেওয়া হয় বেহালা থানার অফিসার ইন চার্জ ও থানার এক সাব-ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে। উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এজলাসে। সমস্ত দিক বিচার বিবেচনা করে অবশেষে আগামী ২০ তারিখ অব্দি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক আমান্ত সিংহাল। পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ থাকায় ভারতীয় দন্ডবিধির ৪১ডি ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তদের পক্ষের এক আইনজীবী উপস্থিত থাকবেন পুলিশি জেরার সময়। অভিযুক্তদের শারীরিক অবস্থার প্রতিদিনের মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারক। বিধানসভা উপনির্বাচনের দিন রাতে চড়কতলার চড়ক মেলা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। এদিন সন্ধ্যায় দুই পক্ষের সামান্য বচসা হলেও গভীর রাতে পরিস্থিতি চরমে পৌছয়। সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবল চড়াও হয় গণেশ ওরফে লাল্টু ঘোষের দলের সদস্যদের ওপর। ৭ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল সোমনাথের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন প্রায় ১২ জন। শনিবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় ১৬ জনকে। এঁদের জেরা করে জানা যায় সোমনাথ সহ মোট ৭ জনের নাম। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সংঘর্ষের পর বিবাদী বাগ এলাকা থেকে একটি ট্রাভেল এজেন্সির গাড়ি ভাড়া করেছিল সোমনাথ ও তাঁর সঙ্গীরা। কলকাতা থেকে তারা গা ঢাকা দেয় ওড়িশার বালাসোরে। সেখান থেকে তাঁরা দীঘা ও খড়্গপুর হয়ে হাওড়ায় পৌছে ছিল। শনিবার দুপুর থেকে ঝিকিরায় সোমনাথের এক ঘনিষ্ঠের বাগান বাড়িতে থাকা শুরু করেছিল অভিযুক্তরা। সেখান থেকেই পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে তাঁদের বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নয়। চন্দনেশ্বরে তাঁরা পুজো দিতে গেছিল বলে সংবাদমাধ্যমে তাঁরা জানায়। যদিও পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কোনও প্রভাবশালী ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অস্ত্র কোথা থেকে পেল অভিযুক্তরা তাও খতিয়ে দেখছে বেহালা থানার আধিকারিকরা।