Date : 2024-04-25

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জের, রমজান মাসে ফলের বাজার আগুন

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:-রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনেই রামনবমী, নীলষষ্ঠী ও পয়লা বৈশাখ। বছরের এই সময়ে ফলের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু এ বছর মূল্যবৃদ্ধির জেরে খুচরো বাজারে ফলের দাম কার্যত আকাশ ছুঁয়েছে। কলকাতার পাইকারি ও খুচরো বাজার ঘুরে এরই তত্ত্বতালাশ করল আর প্লাস নিউজ।


জালানির দাম রোজই রেকর্ড গড়ছে। হু হু করে দাম বাড়ছে নিত্যপণ্যেরও। সবজি, মাছ-মাংসের বাজার বা ফলের বাজার, দামের পারদ চড়ছে। এপ্রিল মাসের তিন তারিখে শুরু হয়েছে রমজান মাস। ফলে ফলের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু ফলের বাজারে হাত দিলেই লাগছে ছেঁকা। পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের মতে, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়েছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। প্রতি বছর রোজার মাসে যেভাবে ফলের ব্যবসা হত তার তুলনায় এবছর বাজার মন্দা যাচ্ছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বেঙ্গালুরু, নাসিক সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফল আসে এ রাজ্যে। সেই পেটি পেটি ফল পৌঁছে যায় মেছুয়া সহ বিভিন্ন ফলপট্টিতে। সেখান থেকে পাইকারি দামে ফল চলে যাচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। দেখে নেওয়া যাক পাইকারি ও খুচরো বাজারে ফলের কী দাম।


পাইকারি বাজারে ফলের দাম:
বেদানা – ৮০ টাকা কিলো
তরমুজ – ২০-২২ টাকা কিলো
আঙুর – ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পেটি
কালো আঙুর – ১০০০ টাকা পেটি
পেঁপে – ১০০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পাল্লা
আপেল – ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কিলো
মৌসাম্বি লেবু -১০০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পার পেটি
কমলা লেবু – ১০০০ টাকা পেটি
খুচরো বাজারে ফলের দাম:
পেয়ারা – ১০০ টাকা কিলো
শশা – ৫০ টাকা কিলো
বেল – ৪০ টাকা কিলো
আপেল – ১২০ টাকা কিলো
পেঁপে – ৫০ টাকা কিলো
জামরুল – ৫ টাকা পিস
ফুটি – ৮০ টাকা কিলো
শাকালু – ৮০ টাকা কিলো
বেদানা – ২০০ টাকা কিলো
তরমুজ – ৪০ টাকা কিলো
কলা – ৬ টাকা পিস
কাঠালি কলা – ১০ টাকা জোড়া
খেজুর – ১৫ টাকা প্যাকেট থেকে 100 টাকা প্যাকেট
আমসত্ত্ব – ১৫ টাকা (ছোট প্যাকেট)
পাতি লেবু – ১০ টাকা পিস
করোনা-লকডাউনের জেরে এমনিতেই বহু পরিবার এখনও বিপর্যস্ত। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছেন তারা। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি তাদের ফের বেসামাল করে দিচ্ছে। তার উপর জালানির দাম বৃদ্ধি। দুয়ে মিলে আপাতত শিরে সংক্রান্তি।