Date : 2024-04-24

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় FIR রুজু করলো সিবিআই

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:-গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সন্ধ্যে ৬ টার মধ্যে এস এস সি র উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক অলোক কুমার সরকারকে ও প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্যকে সিবিআই দপতরে হাজিরার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
সিবিআই চাইলে ফের শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জেরা করতে পারে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের তরফে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট জমা পড়েছে। এছাড়াও এবং আই আর কপি এবং শান্তি প্রসাদকে জেরার পর পাওয়া তথ্য সম্বলিত একটি রিপোর্ট ও জমা দিয়েছে সিবিআই।

একের পর এক বিচারপতি সরে দাঁড়াচ্ছেন মামলা থেকে। সোমবার বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ সরে দাঁড়ানোর পর এবার সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। তার আগে বিচারপতি টিএস শিবাগনানমের ডিভিশন বেঞ্চ ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চও সরে দাঁড়িয়েছিলেন এই মামলা থেকে। যার জেরে চাপ বেড়েছে এসএসসির চার উপদেষ্টার। প্রথম থেকেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে বারবার স্থগিতোদশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে প্রবল আপত্তি জানিয়ে সোজা সুপ্রিম কোর্টে প্রধানবিচারপতির কাছে নালিশ ঠুকেছিলেন তিনি। তারপরেই একের পর এক বিচারপতি সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করে।

এসএসসি মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশের কারণে শুক্রবার রাতেই পুলিশ এসএসসি বোর্ডের চাপ উপদেষ্টাকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়েছিল জেরার জন্য। রক্ষাকবচ না থাকায় গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা। এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহার রক্ষা কবচের মেয়াদও গতকালই শেষ হয়ে গিয়েছে। কাজেই সকলেই গ্রেফতারির আশঙ্কায় ভুগছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই চার উপদেষ্টার সুপারিশেই একাধিক নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল মামলাকারিদের।

কেন সরে দাঁড়াচ্ছেন বিচারপতিরা….

গত বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করার পর থেকেই তিন দিন ধরেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে চরম জটিলতা তৈরি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চবার বার একক বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে ব স্থগিতাদেশ দিলে প্রকাশ্যেই ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানিয়ে বলেছেন কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে বারবার সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। তারপরেই সরে দাঁড়ান বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে মামলা চলে যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে। প্রধান বিচারপতি জানান, মামলার শুনানি হবে বিচারপতি টিএস শিবাগনানম ও হিরন্ময় ভট্টাচার্যর বেঞ্চে। কিন্তু তাঁরাও মামলাটি শুনতে রাজি হননি। মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান। ফের মামলা যায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি বলেন আবেদনকারীদের মামলাটি শুনবে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। কিন্তু তাঁরাও মামলাটি শুনতে রাজি হননি।এদিন রাতেই প্রধান বিচারপতি নির্দেশিকা জারি করে জানান বিচারপতি জয় মাল্ল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে।কিন্তু মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায় তিনিও মামলাটি শুনবেন না। এদিকে হৃদ পিণ্ডের প্লাস রেট বাড়তে শুরু করেছে এস পি সিনহার। অবশেষে মামলা শুনতে রাজি হলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

বিচারপতির কড়া নির্দেশ:-

মঙ্গলবার বিচারপতির অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গলবেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে। তখনই বিচারপতি এসএসসির উপদেষ্টা এস পি সিনহা এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি ডিরেক্টর অলোক কুমার সরকারকে প্রয়োজনে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।এ আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর ফের প্রধান বিচারপতি র এজলাসে দ্বারস্থ হন দুজনেই।

প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি জন্য পাঠিয়ে দেন।বিচারপতি তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে শর্তসাপেক্ষে মামলাটি শুনবেন বলে জানিয়েদেন আবেদনকারীদের।