Date : 2024-04-23

শুধু হাঁটলেই সারবে রোগ!

রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্কঃ হাঁটলে সারে না এমন রোগ নেই৷ সে ওজন কমা হোক বা ভুঁড়ি কমানো৷ পেশি গঠন করা হোক বা ফিটনেস বাড়ানো৷ শরীরে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের ক্ষরণ কমিয়ে আর হ্যাপিনেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে মন ভাল করতে, চোখে ঘুম নিয়ে আসতে তার জুড়ি নেই৷ রক্তচাপ-রক্তে শর্করা মাত্রা-কোলেস্টেরল, এমনকি, হৃদ্‌রোগের প্রকোপ কমাতেও সে অদ্বিতীয়৷ সব ভুলে যাচ্ছেন? টেনশনে মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে? খোলা হাওয়ায় হাঁটুন৷ হাঁপানিতে জেরবার? অল্প অল্প করে হেঁটে হেঁটে ফুসফুসের জোর বাড়ান৷

আথ্র্রাইটিসের ব্যথায় সব ব্যায়াম বারণ হয়ে গেলেও হাঁটা কিন্তু বন্ধ হয় না৷ অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি সমতলে ১০-১৫ মিনিট বা ২০ মিনিট হাঁটতে বলেন চিকিৎসক৷ আস্তে আস্তে৷ যে কোনও অস্ত্রপচারের পর, সে পায়ের হোক বা পেটের, হার্টের হোক বা মস্তিষ্কের, রিহ্যাবিলিটেশনের পর্যায়ে প্রথম ব্যায়ামই হল সাপোর্ট নিয়ে একটু করে হাঁটতে হাঁটতে এক সময় পুরোদস্তুর হাঁটতে শুরু করা৷ কীভাবে হাঁটবেন?

১) ক্যালোরি ঝরাতে, ফিটনেস বাড়াতে, উচ্চ রক্তচাপ-রক্তে বেশি শর্করার মাত্রা-কোলেস্টেরলের প্রকোপ কমাতে যে কোনও সময় হাঁটুন৷ জোর কদমে৷ কম করে ২০-২৫ মিনিট৷

২) শরীর গঠন করতে চাইলে ব্রিস্ক ওয়াকিংয়ের বিকল্প নেই৷ খালি পেটে করলে ফ্যাটও ঝড়বে৷ ফিটনেস থাকলে দৌড়তে পারেন৷ সবচেয়ে ভাল হয় হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং করলে৷ এতে ওয়ার্ম আপ করার পর দু-পাঁচ মিনিট দৌড়ে এক মিনিট আস্তে হাঁটুন৷ ২৫-৩০ মিনিটের সেশনে বেশ কয়েক বার এ রকম করুন৷ এতে ক্যালোরি বেশি ঝড়ে৷ পেশি ভাল ভাবে গঠিত হয়৷ কারণ হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় পুরো শরীরের ভার নিয়ে ব্যায়াম হয় বলে ওজন নিয়ে ব্যায়ামের মতো সুফল পাওয়া যায়।

৩) ভূঁড়ি কমাতে চান? সকালে খালিপেটে জোর পায়ে হাঁটুন কম করে ২০-২৫ মিনিট৷ ১২-১৪ ঘণ্টা খালিপেটে থাকলে শরীরে গ্লুকোজের স্টোর তলানিতে চলে যায়৷ তখন হাঁটার এনার্জি দেয় ফ্যাট৷ কাজেই ফ্যাট কমাতে চাইলে খালিপেটে হাঁটার বিকল্প নেই৷ তবে ওজন খুব বেশি হলে ও হাঁটু-কোমরের অবস্থা খারাপ হলে আগে ডায়েট করে ২-৪ কেজি কমিয়ে নিতে হবে৷

৪) পেশির ব্যথায় হাঁটুন সকালের রোদে৷ ভিটামিন ডি-এর সৌজন্যে কাজ হবে ম্যাজিকের মতো৷