Date : 2024-04-20

স্মার্ট ওয়াচে সাবধান কিন্তু ! হ্যাকারদের ফাঁদে পড়লেই বিপদ। তবে বিপদ থেকে বেরিয়ে আসার উপায়ও আছে

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার:-

যত দিন যাচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। সেইসব প্রযুক্তিকে নিয়ে চলতে গেলে সাবধানতা ও সতর্কতা দুই অবলম্বন করা উচিত। কিন্তু কোথাও ফাঁকফোকর থেকেই যায়। তার ফলে হ্যাকার খুব সহজে ঢুকে যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনে।


নিজেকে অ্যাডভান্স থাকতে হলে নয়া প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। নাহলে পিছিয়ে পড়তে হবে। এমনই এক ভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম। বাজারে নতুন ট্রেন্ড স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ব্যান্ড। অনেকের হাতেই যা এখন দেখা যাচ্ছে। সাধারণ ঘড়িতে খালি সময় দেখা যায়। স্মার্ট ওয়াচে সময়ের পাশাপাশি ফোনকল, নোটিফিকেশন ও মেসেজ দেখা যাবে। জানা যাবে হার্টবিটও। সেই স্মার্ট ওয়াচ-ই বিপদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কখনও কখনও। কী করে ? হ্যাকিং এর মাধ্যমে। স্মার্ট ওয়াচ হ্যাকিং কিভাবে হয় ? জানাচ্ছেন টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট ইন্দ্রনীল দাস। তিনি জানাচ্ছেন, ব্লুটুথের মাধ্যমে করা হচ্ছে হ্যাকিং। স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ব্যান্ড মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকে। স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ব্যান্ডে বিএলই অর্থাত্ ব্লু টুথ লো এনার্জি ব্যবহার হয়। এই ডিভাইসের মাধ্যমে হ্যাকাররা হ্যাক করছে। ব্লু টুথ দুইরকম হয়, ক্লাসিক ও বিএলই। প্রত্যেকটা স্মার্ট ওয়াচে বিএলই ব্যবহার করা হয়।

যার ফলে ফোন কল, নোটিফিকেশন, মেসেজ, এমনকি হার্টবিটও হ্যাক করা যাবে। হ্যাকাররা কারসাজি করে ফেক ডেট, ফেক ফোন ও ফেক ম্যাসেজ পাঠাতে থাকে। ফলে আপনার অজান্তে ফোনে থাকা সব ডেটাই হ্যাক হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি টার্গেট হচ্ছেন সাধারণ মানুষও। কীভাবে এই জাল থেকে বেরিয়ে আসবেন তারই সমাধান দিলেন টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট ইন্দ্রনীল দাস। হ্যাকিং থেকে বাঁচার প্রথম উপায় হল অযথা ভয় না পাওয়া। প্রথমে ব্লু টুথ বন্ধ করে দিতে হবে। তারপর ফোনের সুইচ অফ করে দিতে হবে। তাহলেই হ্যাকারদের ট্র্যাক থেকে বাইরে বেরিয়ে আসা যাবে।


আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে তথ্যপ্রযুক্তি। তথ্যপ্রযুক্তি নিয়েই এগিয়ে চলতে হবে। কিন্তু তার পাশাপাশি সতর্কও থাকতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি সম্বন্ধে ধ্যানধারণা রাখতে হবে। নাহলে হ্যাকারদের ফাঁদে পড়তে বেশি সময় লাগবে না।