সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: শারীরিক অসুস্থতার জের, এসএসকেএম হাসপাতালে সংকটজনক ভাবে ভর্তি বীরভূম জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। হাজিরা দিতে পারলেন না সিবিআই দফতরে।গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ই এপ্রিল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়।
গত ২রা এপ্রিল ইমেল মারফত পঞ্চম বারের জন্য নোটিশ দেওয়া হয় তাঁকে। মেল পাওয়া মাত্র তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি নিজাম প্যালেসে যাবেন এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই মতো মঙ্গলবার রাতে কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে আসেন তিনি। বুধবার সকালে ১০.৪৫ নাগাদ চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। পার্ক সার্কাসের কাছে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। আইনজীবী সঞ্জীব দাঁকে সঙ্গে নিয়ে তিনি যান এসএসকেএম হাসপাতালে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। দীর্ঘ ৩ ঘন্টার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তিনি উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
মেডিকেল বোর্ডের মতামত অনুযায়ী তিনি কোনও ভাবেই সিবিআই আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানা যায়। সেই মর্মে অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচাৰ্যকে চিঠি দেন অনুব্রত মণ্ডল। চিঠিতে উল্লেখ থাকে যে তাঁকে ৪ সপ্তাহ সময় দিতে হবে সুস্থ হওয়ার জন্য, নতুবা এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে অপমান করা হয়েছে বলেই মনে করেন তাঁর আইনজীবীরা। তিনি সব সময়ই সিবিআইকে সহযোগীতা করতে রাজি। যদিও সিবিআইয়ের তরফ থেকে পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা চূড়ান্ত হবে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরেই।