ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক: দেওয়ানী মামলা থেকে অপরাধ সংক্রান্ত মামলা জামিন হোক বা আগাম জামিন সংক্রান্ত মামলায় পক্ষে-বিপক্ষে যখনই মামলার রায় হয় তখনই পক্ষে-বিপক্ষে প্রশ্ন ওঠেই। কিন্তু বিচারপতিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা খুব একটা নজরে আসে না। কলকাতা হাইকোর্টে এজলাস বয়কট নতুন কোন ঘটনা নয় এর আগেও এজলাস বয়কটের ঘটনা ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট নিয়ে সরব হয়েছে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষেরা।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি হয়েছে সেই ছবি জনমানুষের কাছে অনেকটাই কাঁচের মত স্বচ্ছ হয়ে গিয়েছে। যে কারণে কি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ যে কারণে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করলেন।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বার বার বিড়ম্বনায় পড়েছে রাজ্য সরকার।নবম দশম শ্রেণীথেকে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
শাসক দলের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেন বিভীষিকা।সেই বিচারপতির এজলাস বয়কট নিয়ে আইনজীবীদের বড় সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টের বার এসোসিয়েশনের বিভক্ত। বিচারপতির এজলাসের সামনে নিয়মিত অবস্থান করছেন তৃণমূল ল সেলের আইনজীবীরা। তাও তাঁকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না।মাঝে মধ্যে ই ডাক পড়ছে শিক্ষা দফতরের কর্তাদের।
তবে সম্প্রতি প্রাক্তন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে সিবিআইয়ের তলব নির্দেশের পরেই রনমূর্তি চেহারা নিয়েছে আইনজীবী মহলের একাংশের।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বার বার মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন।কখন ক্যান্সারের আক্রান্ত চাকুরীর প্রার্থীর পক্ষে আবার কখন তিনি শিক্ষকের সন্তানের সুচিকিৎসা পরামর্শ।যে কারণে রাজ্যের অনেক মানুষের কাছেই তিনি ভগবান।সেই বিচারপতি র পক্ষে এবার রাস্তায় নামলেন রাজ্যের কিছু শিক্ষক।
গত ১৯শে এপ্রিল কলকাতার ভারত সভা হলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল।কিন্তু সব কিচ্ছু ছাপিয়ে গেল বৃহস্পতিবার। যা কলকাতা হাই কোর্টের ইতিহাসে এই প্রথম। একজন বর্তমানে বিচারপতি সপক্ষে রাস্তায় নেমে মিছিল এই প্রথম বলেই জানাচ্ছেন আইনজীবী মহলের একাংশ।