Date : 2024-04-24

গরমে কমল ‘স্কুল আওয়ার ‘। পড়ুয়া সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির কোনও আশা নেই। তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। গরমে জ্বলছে বাংলা। তাপমাত্রা ৪০ডিগ্রি পার। এই গরমে সবচেয়ে করুণ দশা পড়ুয়াদের। স্কুল চলছে পুরোদমে। একাংশ অভিভাবকের বক্তব্য, পড়ুয়ারা স্কুল যাতায়াত করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে। ছাত্র ছাত্রীদের গরম থেকে রেহায় দিতে নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি।
সরকারি স্কুলের প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্লাস সকালে করার পরামর্শ দিয়েছে স্কুল শিক্ষাদফতর। আর বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুলগুলিতে কমিয়ে আনা হয়েছে স্কুলের সময়।

করোনার সংক্রমণ রুখতে প্রায় বছর দুই বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই অনলাইন ক্লাসের পাট চুকিয়ে স্কুলে ফিরেছেন পড়ুয়ারা। কদিন পরেই ক্লাস পরীক্ষা শুরু হবে। দু বছর পড়ুয়ারা অফলাইনে কোনও পরীক্ষা দেয়নি। দু বছর পর ফাস্ট সামেটিভ। এরই মধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে গরম। আর এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা কীভাবে স্কুল যাবে, ক্লাস করবে তার সামনে একটা প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছে।

এই গরমে স্কুল খোলা রাখা যাবে কি না তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন শিক্ষাদপ্তরের কর্তারা। পড়ুয়াদের সুরক্ষার কথা ভেবে জারি করা হচ্ছে নির্দেশিকা। স্কুলে স্কুলে রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমানে পরিশুদ্ধ পানীয় জল। জেলায় জেলায় ইতিমধ্যে ক্লাস এগিয়ে আনার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে অনেক এলাকাতেই একই বিল্ডিংয়ে সকাল এবং দিবা বিভাগের ক্লাস হয়। ফলে সেই সব স্কুলপ বেলার সময় এগিয়ে আনা কার্যত অসম্ভব। যদিও এনিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে শিক্ষা দফতর।

অন্যদিকে বেশির ভাগ বেসরকারি স্কুলই পঠনপাঠনের সময় এগিয়ে এনেছে। আবার সাউথ পয়েন্ট স্কুলে বুধবার থেকে তিনদিন অনলাইনে ক্লাস হবে। মে মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ থেকে গরমের ছুটি পড়বে বেসরকারি স্কুলগুলিতে। এই সময় পরীক্ষা চলছে বলে তাই গরমের ছুটি এগিয়ে আনতে চাইনা শহরের বেশির ভাগ স্কুল। তবে পড়ুয়াদের সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। যাতে কিছুটা হলেও স্বস্থি পেয়েেছন অভিভাবকেরা।