Date : 2024-04-25

কুর্সি ধরে রাখতে সঙ্কটে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট

রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ আর্থিক সঙ্কট। এর আগে ১০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার ঘোষণায় সমস্যায় পড়েছিলেন নাগরিকরা। সেই পরিস্থিতি এবার চরমে পৌঁছেছে। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই তলানীতে যাবে তা কখনও ভাবতেই পারেননি শ্রীলঙ্কাবাসী। ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। দেশবাসীর বিক্ষোভ ধামাচাপা দিতে দেশজুড়ে কঠোর করা হয়েছে আইন। কিন্তু তাতেও প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষের বিপদ কাটছে না। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। যদিও তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ হয়নি। ফলে নিজের কুর্সি ধরে রাখতে সংকটে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যেই এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে দেশের এই সঙ্কটের সমাধান করতে একযোগে সকলকে আহ্বান করা হচ্ছে। শাসক-বিরোধী একসাথে কাজ করলেই এই সঙ্কট থেকে মুক্তি সম্ভব। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই করুণ। সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন দুই মুঠো খাবারের খোঁজে। বেঁচে থাকার লড়াই লড়ছেন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, শ্রীলঙ্কায় কেজি প্রতি চালের দাম পেরিয়ে গিয়েছে ২০০ টাকা। ত বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। একটা ডিম কিনতে গেলেও খরচ করতে হচ্ছে ৩০ টাকা। এমনই ভয়ঙ্কর অবস্থা শ্রীলঙ্কার।আর্থিক সঙ্কটের জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ছে প্রতিদিনই। তা প্রায় আকাশ ছুঁতে চলেছে। বহু মানুষ আপাতত অনাহারেই দিন কাটাচ্ছেন। দেশে পেট্রল- ডিজেলের হাহাকার। যেটুকু পেট্রল রয়েছে, তা কিনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিচ্ছে মানুষ। কলম্বোর সুপারমার্কেটগুলিতে আকাশছোঁয়া দাম পৌঁছেছে খাদ্যশস্যের। এমনকি এক সপ্তাহে সবজির দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। ওষুধের দাম ও আকাশ ছুঁয়েছে। জানা গিয়েছে, এক পাতা প্যারাসিটামল কিনতেই কমপক্ষে ১৪০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।