Date : 2024-03-28

অনার কিলিং-এর সাক্ষী পাকিস্তান

পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক : বোন ভালোবাসত নাচতে। নিজের পছন্দ থেকেই কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছিল মডেলিং। তাতেই খুন হতে হল তাকে। আর খুন করল তাঁর আপন দাদা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের রেনালা খুর্দ ওকারা নামের একটি গ্রামে ঘটেছে এই নৃশংস ঘটনা।ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন ২১ বছরের তরুণী সিদরা।স্থানীয় একটি পোশাক ব্র্যান্ডের জন্য মডেলিং করতেন তিনি। একইসঙ্গে ফয়সলাবাদ শহরের থিয়েটারে মাঝেমধ্যে নৃত্য পরিবেশনও করতেন। এই কারণেই পরিবার থেকে বারণ করা হয়েছিল তাঁকে।কিন্তু শত বাধা সত্ত্বেও কিছুতেই নিজের পছন্দ ত্যাগ করেননি সিদরা। আর প্রাণ দিয়ে সেই ‘অপরাধের’ খেসারত দিতে হল তাঁকে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে ইদ উপলক্ষ্যে বাড়িতে এসেছিলেন সিদরা।

তখনই মডেলিং ও নাচ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। সিদরাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। এরই মাঝে বিবাদ চরমে ওঠে। কিন্তু কিছুতেই বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না তরুণীকে। তখনই তাঁকে গুলি করে তাঁর আপন দাদা হামজা। ওই ঘটনার পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ আধিকারিক ফরাজ হামিদ জানিয়েছেন, সিদরা নাচের একটি ভিডিও হামজাকে পাঠিয়েছিলেন এক আত্মীয়। আর তাতেই প্রবল রেগের বশে বোনকে খুন করে সে। পঞ্জাব প্রদেশে এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও পরিবারের সম্মান ও ইসলামের দোহাই দিয়ে এর আগেও বহু হত্যালীলা ঘটে গিয়েছে সেখানে। কিন্তু কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না সেখানে। বহুবার চর্চা ও তর্কের বিষয় হয়েছে এই প্রদেশের অনার কিলিং। কিন্তু পরিস্থিতি যেই কে সেই। হামজা নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রজু করে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।