Date : 2024-04-20

অর্জুনের দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ সেটের

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর ময়না তদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিৎপুর থানায় ডাকা হয় মৃতের দাদাকে।

স্পেশাল ইনকোয়ারি টিম অর্জুন চৌরাসিয়ার বাড়িতে নোটিস পাঠায়। নোটিসের ভিত্তিতে আজ সকালে চিৎপুর থানায় যায় অর্জুনের দাদা আনন্দ।চিৎপুর থানার আধিকারিক ও সেটের সদস্যরা উপস্থিত ছিল চিৎপুর থানায়। অর্জুনের দাদা আনন্দ চৌরাসিয়ার বয়ান রেকর্ড করা হয়। অর্জুনের দাদাকে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর এক মহিলা আধিকারিককে নিয়ে সেট যায় অর্জুনের বাড়িতে। অর্জুনের মা ও বৌদির সঙ্গে কথা বলে তাঁরা। ঘটনার কয়েকদিন আগে অর্জুনের সঙ্গে তাঁর বৌদির কথা কাটাকাটি হয়। এরপরই আনন্দের স্ত্রী বিহারে তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান। পারিবারিক বিবাদের বিষয়টি আগেই উঠে এসেছিল পুলিশের কাছে। তাই অর্জুনের মা ও বৌদির সঙ্গে কথা বলা জরুরী বলেই মনে করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি অনলাইন জুয়া খেলত অর্জুন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অর্জুনের ফোনের লক খোলার জন্য পরিবারকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।

সেই চিঠির উত্তরে পরিবারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় অর্জুনের ফোনের লক বা তাঁর ইমেল আইডির পাসওয়ার্ড জানে না তাঁর পরিবার। তাই শিয়ালদহ আদালতে পুলিশ আবেদন করেছে অর্জুনের ফোন ফরেন্সিকে পাঠানোর জন্য। অন্যদিকে পুলিশ অর্জুনের কল লিস্ট থেকে একটি নম্বর পেয়েছে যে নম্বরের সঙ্গে একাধিকবার অর্জুন যোগাযোগ করেছে বলে জানা গেছে। নম্বর ট্র্যাক করে জানা যায় অর্জুনের পাড়ার বাসিন্দা আমান্ত শঙ্কর নামে এক যুবকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে অর্জুন। বিভিন্ন ধাপে তাঁর থেকে ৪০ হাজার টাকা নেয় অর্জুন। ১৮ হাজার ৫০০ টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও বাকি টাকা বাকি রয়েছে। পুরো টাকাটাই ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করা হয়েছিল। পুলিশ ওই যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর ওই যুবক টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও তথ্য পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে সূত্রের খবর। ঘটনার দিন আমান্ত শঙ্করের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয় অর্জুনের। টাকা সংক্রান্ত বিষয়েই কথা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে আমান্ত। গতকাল রাতে পুলিশের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। সেখানে স্পষ্ট লেখা গলায় ফাঁসের ফলেই মৃত্যু অর্জুনের অর্থাৎ মৃত্যুর আগেও বেঁচে ছিল অর্জুন। তবে মাদক প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না তা জানতে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, মাদক প্রয়োগ করলে মৃত্যুর পর দেহের রঙে পরিবর্তন আসে কিন্তু অর্জুনের ক্ষেত্রে তা হয়নি অর্থাৎ মাদক প্রয়োগ করা হয়নি বলেই মনে করছে পুলিশ। কি কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল তরুণ বিজেপি নেতা তা অনুসন্ধান করছে পুলিশ।