Date : 2024-04-24

অশনি’ মুক্ত বাংলা – স্বস্তির ঘোষণা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ গত কয়েক দিন ধরেই চোখ রাঙাচ্ছিল ঘূর্ণিঝড় অশনি। ভয়ে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। প্রশ্ন উঠছিল কোথায় হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল। তবে অবশেষে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিল যে ঘূর্ণিঝড় অশনির কোনও প্রভাব পড়বে না রাজ্যে। দুর্যোগের আশঙ্কা নেই উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতেও।

বুধবার সকালেই জানা গিয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেছে অশনি। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল এদিন অশনি সন্ধে নাগাদ পৌঁছতে পারে অন্ধ্রের উত্তর উপকূলে। বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হতে হতেই শক্তিক্ষয় করে ক্রমশ দুর্বল হবে ঘূর্ণিঝড় অশনি। আগামীকাল সকালে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা।

দুপুরে আলিপুর জানাল আরও খানিকটা শক্তিক্ষয় হয়েছে অশনির। এবং পরিণত হয়েছে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে। আগামীকাল সকালে তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তার জেরে চলবে বৃষ্টিপাত।

তবে আগামিকাল দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ,নদিয়াতে বিক্ষিপ্ত অথবা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। যার জেরে মৎস্যজীবীদের ১৩ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে বেশি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের রাজ্যগুলিতে। এর মূলত কারণ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ প্রচুর বাতাস প্রবেশ করছে। যার জেরে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে ১১ থেকে ১৫ মিলিমিটার মাঝারি বৃষ্টি হবে। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি জেলা যেমন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ,আলিপুরদুয়ার, ও কোচবিহার।

কলকাতার আকাশও দিনভর মেঘলাই ছিল। দফায় দফায় চলেছে বৃষ্টিপাত। তবে সার্বিকভাবে বিচার করলে একথা বলাই যায় যে অশনি দৃষ্টি কাটল বাংলার ওপর থেকে।