Date : 2024-04-25

পাটুলিতে মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আত্মহত্যার কারণ খুঁজছে পুলিশ

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: বিদিশার পর এবার মঞ্জুষা। পাটুলির টি ব্লকের বাড়ি থেকে বিদিশার বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। শুক্রবার সকালে দেহ উদ্ধার করে পাটুলি থানার পুলিশ। আত্মহত্যার কারণ খুঁজছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় নাগের বাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় মডেল বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। দুদিন যেতে না যেতেই শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার বিদিশার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ। এদিন সকাল ৬.৩০ টা নাগাদ মঞ্জুষার মাসি তাঁকে ডাকতে এলে সাড়া পায় না। তিনতলার ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতেই দেখতে পায় লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ। বাড়ির সদস্য ও প্রতিবেশীরা খবর দেয় পাটুলি থানায়। পুলিশ মঞ্জুষার বাড়ি থেকে দেহ নিয়ে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। কেন এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল মঞ্জুষা তা খতিয়ে দেখছে পাটুলি থানার পুলিশ। পরিবারের দাবি, দুদিন আগেই আত্মহত্যা করে মঞ্জুষার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী মডেল বিদিশা দে মজুমদার। বান্ধবীর আত্মহত্যার খবর পাওয়ার পর থেকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল সে। মঞ্জুষাও বিদিশার মতো আত্মহত্যা করে ফেলতে পারে বলে মা কে জানিয়েছিল সে। মডেল শুটের পাশাপাশি সিরিয়ালেও কাজ করেছিল মঞ্জুষা। তবে ইদানিং হাতে তেমন কাজ ছিল না। সেদিক থেকে মানসিক অবসাদ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গত নভেম্বরে বেহালার রামনাথ বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মঞ্জুষার। পেশায় ব্যবসায়ী স্বামী মঞ্জুষাকে কাজের বাড়তি চাপ নিতে নিষেধ করতেন। শাশুড়িকে নিয়েও প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা লাগত মঞ্জুষার। কিন্তু কি কারণে আত্মহত্যা তা জানার চেষ্টা করছে পাটুলি থানার পুলিশ।