শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:-সেই আতঙ্ক নেই। সেই সংক্রমণও তলানিতে। ফলে মাস্কও প্রায় অদৃশ্য। একশোয় এক-আধজনের মুখে মাস্ক। কিন্তু এখনও মাস্কের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মনে করছেন চিকিত্সকরা।
সংখ্যার নিরিখে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন আর উদ্বেগজনক নয় দেশ ও রাজ্যে। ১১ মে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া কোভিড বুলেটিনে অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫। এবং সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৯৫। সংখ্যা বেশি না বাড়লেও গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যানে কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ধীরে হলেও ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে পজিটিভিটি রেট। বিশেষজ্ঞরা চতুর্থ ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। এদিকে মাস্কের বালাই নেই আমজনতার। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সতর্ক করছেন, মাস্ক ইস মাস্ট। মাস্ক অবহেলা করলে বিপদ অনিবার্য। কিন্তু গরমের দোহাই দিয়ে অনেকেরই মাস্ক পরায় অনীহা দেখা যাচ্ছে চিকিত্সকমহলের পরামর্শ, মাস্ক ব্যবহার করলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। করোনাকে দূরে রাখার পাশাপাশি এড়ানো যাবে রোদকে।
সংক্রমণ ও মৃত্যু কমায় করোনা সংক্রমণের ভীতি প্রায় নেই। বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। অনেকেই বলছেন, গ্রীষ্মের এই আবহাওয়ায় নাকে-মুখে মাস্ক রাখা সম্ভব নয়। পাশাপাশি জানাচ্ছেন গরমে মাস্ক পড়ে হাঁটাচলা করাতে নিঃশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে।
চিকিত্সকমহলের বক্তব্য, দেশজোড়া চতুর্থ ঢেউ আসুক বা না-আসুক ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুরক্ষার স্বার্থেই মাস্ক নীতি থেকে এক চুলও সরা যাবে না। মাস্ক নিয়ে মানুষ যত্নবান না হলে বিপদ। অতিমারীর দাপট কমলেও করোনা সংক্রমণ ঘাপটি মেরে বসে আছে। অসতর্ক মুহূর্তে যা দুর্বল শরীরে হামলা চালাবেই।