রুমঝুম সামন্ত, নিউজ ডেস্ক:- মাদক দ্রব্য গাঁজা যেমন নেশার কাজে ব্যবহৃত হয় তেমনি গাঁজা পাতার একাধিক ঔষধি গুণ রয়েছে বলে জানাযায়। তাই গাঁজা চাষকে বৈধ ঘোষণা করল থাইল্যান্ড সরকার। শুধু চাষ নয়, উপকারী খাদ্য ও পানীয় হিসেবেও গাঁজা বৈধ বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ড সরকার। বিদেশে বেশ কিছু দেশে গাঁজা চাষ বৈধ বলে জানাযায়। এশিয়ার এই প্রথম দেশ থাইল্যান্ড যারা গাঁজা চাষকে বৈধ বলে জানিয়েছে। ২০১৮ সালে গাঁজা মজুত রাখাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল থাইল্যান্ড সরকার। তারপরও দেশে গাঁজার অবৈধ আমদানি বাড়ছিল। কারণ গাঁজা মজুত রাখা আইনি স্বীকৃতি থাকলেও গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি করে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই চাষে উৎসাহ দিতে ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের ১৯ লক্ষ গাঁজা চারা বিলি করার সিদ্ধান্ত নেয় থাইল্যান্ড সরকার। সরকারি এই নয়া পদক্ষেপে গাঁজার অবৈধ আমদানি কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গাঁজা নিয়ে সরকারি ভাবে নানা নির্দেশিকা থাকলেও এই গাঁজা বরাবরই জনপ্রিয় থাইল্যান্ডে। সরকারি নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য ও পানীয় হিসেবে গাঁজা ব্যবহার করা হলেও নেশার দ্রব্য হিসেবে গাঁজার ব্যবহার আগের মতোই অবৈধ রয়েছে। মাদক হিসেবে গাঁজা সেবনে কড়া শাস্তি হতে পারে। থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে গাঁজা খেলে তিন মাসের জেল ও ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কোভিডের পর গোটা পৃথিবীর মতোই থাইল্যান্ডের অর্থনীতিও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার।