Date : 2024-04-20

আনিস খান রহস্য মৃত্যুর তদন্তভার কি সিবিআইয়ের হাতে? দ্রুত মিলবে উত্তর।শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- মঙ্গলবার ছাত্রনেতা রহস্যমৃত্যুর মামলায় শেষ পর্যায়ে শুনানিতে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছেন আনিসের মায়ের সাথে বাবার গোপন জবানবন্দিতে পার্থক্য দেখা গেছে। এডভোকেট জেনারেল এর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান যে পদ্ধতিতে পুলিশ রেড করেছিল সেই পদ্ধতিটা ভুল ছিল।
বিচারপতি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এডভোকেট জেনারেল বলেন সেই বিষয়টা তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ আছে।

বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা এডভোকেট জেনারেল এর উদ্দেশ্যে বলেন এখন বিচার্য বিষয় রাজ্য পুলিশ তদন্ত করবে না অন্য কোনোও সংস্থাকে তদন্তের ভার দেওয়া হবে।
এজি বলেন প্রাথমিক তদন্তের কাজ শেষ। বদ অবস্থায় অন্য কোন তদন্তকারী সংস্থা কে তদন্তের ভার দেওয়া যায় না। সুপ্রিম কোর্ট বা অন্য হাইকোর্টের বিভিন্ন আদালতের নির্দেশের উল্লেখ আছে। সিবিআই তদন্ত দেওয়ার আগে ভালোভাবে বিষয় গুলির পর্যালোচনা প্রয়োজন। যে দুজন পুলিশ আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল তারা আনিস খানকে চিনত না। ফলে তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য তাদের ছিল না।
বিচারপতি রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল এ উদ্দেশ্যে বলেন আপনি আদালতের নির্দেশ রেফারেন্স দিচ্ছেন সেগুলো সব এন কাউন্টার এর উদাহরণ। এখানে পুলিশি তো অভিযুক্ত। কি বলবেন? এডভোকেট জেনারেল তার উত্তরে জানান যেখানে অভিযুক্ত সে কথা আমরা বরাবরই স্বীকার করছি। সিভিক ভলেন্টিয়ার্স অভিযুক্ত। আপনি সিবিআই দিতেই পারেন। কিন্তু কেন দেবেন। এ ঘটনায় রাজ্যের পুলিশের হাতে যা যা তথ্য ছিল তা সবই আমরা আদালতে পেশ করেছি।
আমরা প্রথম থেকেই সিবিআই এর বিরোধিতা করছি না। কিন্তু কেনো দেবেন সেটা ভেবে দেখা উচিত।
মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য্য পুলিশকে আদালত বিশ্বাস করেছিল। পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছিল তদন্তের। কিন্তু পুলিশ আদালতে সেই বিশ্বাসকে বিট্রে করেছে। পুলিশের তদন্তে চিন্নিত হয়নি কার নির্দেশে রেড হয়েছিল। কোন পুলিশ আধিকারিক। তার নাম রিপোর্টে প্রকাশ পায়নি। সেই পুলিশ অফিসার কে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এডভোকেট জেনারেল আদালতে জানিয়েছেন আগামীকাল বুধবার সকালে আনিসের বাবা ও মায়ের ১৬১ ও ১৬৪ গোপন জবানবন্দি আদালতে পেশ করতে হবে।

এডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন আনিস খানকে বারবার হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাকে হেনস্থা করা হয়েছে। বাগনান থানায় আনিস হেনস্থা অভিযোগ দায়ের করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী কেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল।
আনিসের বাবা তার অভিযোগে বলেছে পুলিশ মেরে প্রমাণ লোপাটের জন্য তার ছেলেকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। এটাই যথেষ্ট।
আনিসের বাবা সিবিআই চেয়ে যে মামলা করেছিল সেই মামলার শুনানি শেষ। আগামীকাল রাজ্য গোপন জবানবন্দি জমা করার পর আদালত জানাবে রায়দান কবে।