পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ‘হিমারস রকেট সিস্টেম’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আটচল্লিশ ঘণ্টা না কাটতেই বয়ান বদল। রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালানোর মতো দূরপাল্লার কোনও অস্ত্র কিয়েভকে দেওয়া হবে না। বলে জানিয়েছিল আমেরিকা।প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার সামরিক প্যাকজের অন্তর্গত জ্যাভলিন মিসাইল-সহ আরও হাতিয়ার ইউক্রেনকে দেওয়া হবে।গত সোমবার বাইডেন জানিয়েছিলেন রুশ হামলা ঠেকাতে আমরা ইউক্রেনকে আরও সামরিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু, রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানো যায় এমন কোনও ক্ষেপণাস্ত্র আমরা ইউক্রেনকে দেব না। কিন্তু চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল করেছেন তিনি। আগেও ইউক্রেন সামরিক সাহায্য চেয়েছিল আমেরিকার কাছে। সাহায্যের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও আমেরিকার আশঙ্কা ছিল যে এই হাতিয়ার গুলি তাঁরা রাশিয়ার বিরুদ্ধেই হয়তো ব্যবহার করতে পারে। ফলে সমস্যা আরোও বাড়ার আশঙ্কায় তাঁরা সেই বিষয় আমল না দিলেও এবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে।তাঁরা জনিয়েছেন ইউক্রেনের আবেদন মেনে আমরা তাদের সীমিত সংখ্যায় মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।দোনবাস এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহের রুশ হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আমেরিকার কাছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চেয়েছিলেন। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুঁশিয়ারির পরে অবস্থান বদলে ফেলেছিলেন বাইডেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি নজরে রেখে ইউক্রেনকে ‘হিমারস রকেট সিস্টেম’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।এই বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “আমেরিকা ইচ্ছা করেই উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। এ ধরণের অস্ত্র সরবরাহ শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের নেতাদের ফিরে আসার ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা রাখবে না।” রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও আমেরিকার সমালোচনা করে বলেছেন, বাইডেনের ঘোষণা তৃতীয় কোনও দেশের ইউক্রেন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে।ইউক্রেনকে এহেন হাতিয়ার দিলে ফল ভুগতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.