Date : 2024-03-29

উচ্চ কোলেস্টেরল? সুস্থ থাকতে কোন কোন কাজ না করলেই নয়

রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্কঃ কোলেস্টেরলের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। অনেকের ধারণা চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে জমা হতে থাকে। রক্তবাহগুলিকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। তাই রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

১) এই ভিটামিনে টোকোট্রাইনল নামক উপাদান থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। রোজের খাদ্যতালিকায় কাঠবাদাম, কুমড়ো, ক্যাপসিকাম, পালংশাক রাখুন।

২) ওটস কিংবা ঢেঁকি ছাটা চালের মতো দানা শস্য কাজে আসতে পারে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ সময় পেটে থাকে, ফলে ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। অতিরিক্ত ওজনও কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। ‘বডি মাস ইনডেক্স’ যদি ৩০ বা তার বেশি হয়ে যায়, তবে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩) নিয়মিত শরীরচর্চা কমাতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রা। পাশাপাশি, শরীরচর্চা করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে স্থূলতাও। শরীরচর্চা বলতে কিন্তু শুধু জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে এমনটা নয়। যোগাভ্যাস, নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো অভ্যাসও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
৪) ধূমপান কেবল ফুসফুসের ক্ষতি করে না, বাড়িয়ে দেয় ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও। নিয়মিত মদ্যপান করলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায় । বিশেষ করে অগ্ন্যাশয় ও লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি খুবই ঝুঁকি সাপেক্ষ বিষয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে উচ্চ ট্রাইগ্লিসারইড অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের আশঙ্কা।