Date : 2024-04-18

কাঁঠালের বীজের উপকারিতা। যা আপনাকে বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখবে।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- কাঁঠাল খেয়ে অনেকেই আমরা বীজ ফেলে দি। তবে জানলে অবাক হবেন, এই বীজ বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁঠাল বীজে প্রোটিন ও ভিটামিন আছে। যা ত্বক, চুল, পেট সহ শারীরিক বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বীজে থাকে ১৮৫ ক্যালোরি। একই সঙ্গে থাকে ৭ গ্রাম প্রোটিন, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ১.৫ গ্রাম ফাইবার।
কাঁঠালের বীজ খেলে শরীরে কী কী উপকারিতা ঘটে সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই অজানা!দেখেনি উপকারিতাগুলো।

১.কাঁঠাল বীজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই বীজে থাকা আয়রন রক্তাল্পতার চিকিৎসার জন্যও কার্যকরী।
২. এই বীজ এ জিংক, আয়রন, পটাসিয়াম, তামা ও ম্যাঙ্গানিজও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। এই বীজের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির মধ্যে আছে ফাইটোকেমিক্যাল, যেমন স্যাপোনিন।

৩.কাঁঠালের বীজের প্রোটিন ও অন্যান্য অত্যাবশ্যক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বিভিন্ন চর্মরোগ থেকে রক্ষা করে।
৪.কাঁঠালের বীজে থাকা আয়রন রক্তের স্বাস্থ্য বাড়ায় ও রক্তাল্পতার চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে নারীদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দেয়। নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খেলে সে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আয়রন লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদনও বাড়ায়। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে ও বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

৫. কাঁঠালের বীজ কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্যান্য হজম সংক্রান্ত সমস্যাগুলির চিকিত্সা করতে পারে। কারণ এই বীজ ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় তা হজমের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
৬. এই বীজে ভিটামিন এ আছে, যা দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। ভিটামিন এ’র অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। তাই এ বীজ খেলে চোখ কে ছানি ও ম্যাকুলার অবক্ষয়ের সমস্যাকে প্রতিরোধ করা যায়।
৭. কাঁঠালের বীজে থাকা প্রোটিন পেশি তৈরিতে সাহায্য করে। কাঁঠালের বীজ খাদ্যতালিকায় থাকলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হবে না।
৮. কাঁঠালের বীজ বলিরেখাও প্রতিরোধ করে। কাঁঠালের বীজ পিষে কিংবা গুঁড় করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৯. যাদের চুল সহজে লম্বা হয় না তারা খাদ্যতালিকায় রাখুন কাঁঠালের বীজ। এতে থাকা ভিটামিন এ ভঙ্গুর চুলের সমস্যা কমায় ও এতে থাকা প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। ফলে চুল পড়া কমে। এমনকি এই বীজে থাকা আয়রন মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ফলে চুল দ্রুত লম্বা হয়।
১০. কাঁঠালের বীজে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।