Date : 2024-04-19

প্রকাশিত জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল। পাশের হারের ৯৮.৫শতাংশ। পাশের নিরিখে এগিয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : ৪৮ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল জয়েন্টের এন্ট্রান্সের ফল। চলতি বছর ৩০ এপ্রিল জয়েন্টের পরীক্ষা হয়। বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা জানান, সিবিএসই ও আইএসসি বোর্ডের পরীক্ষা ১৫ জুন যেমন শেষ হয় তেমনই জয়েন্টের সমস্ত উত্তরপত্র খতিয়ে দেখতে একটু বেশি সময় লেগেছে তাঁদের। এই কারণেই নির্ধারিত সময়ের তুলনায় ফলপ্রকাশে সাত থেকে আটদিন বেশি সময় লেগেছে। এবার মোট পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন ১ লক্ষ ১,৪১৩ জন। যার মধ্যে পরীক্ষায় বসেন ৮১ হাজার ৩৯৩ জন। পাশ করেছে ৮০ হাজার ১৩২ জন। পাশের হার হার ৯৮.৫ শতাংশ। যার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫৮,৬২৩ জন পুরুষ পরীক্ষার্থী এবং ২১, ৫৯৮ জন মহিলা পরীক্ষার্থী। সবচেয়ে ভাল ফল করেছে উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলি- এই পাঁচ জেলা। 

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী প্রথম দশের ছ’জনই সিবিএসই বোর্ডের পড়ুয়া। দু’জন রয়েছেন আইএসসি বোর্ডের। ও দু’জন পড়ুয়া পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। তবে পাশের হারের নিরিখে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরীক্ষার্থীরা। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পাশের হার ৫২.২০ শতাংশ, সিবিএসই বোর্ডের ক্ষেত্রে পাশের হার ২৭.৭৪ শতাংশ,আইএসসি বোর্ডের ক্ষেত্রে ২.৬৮ শতাংশ। এছাড়া অন্যান্য বোর্ডে পাশের হার ১৭.৩৭ শতাংশ। এবারের রাজ্য জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন বারাকপুরের হীমাংশু শেখর। দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর নামও হিমাংশু শেখর। তিনি শিলিগুড়ির ছাত্র। তৃতীয় হয়েছেন সপ্তর্ষি মুখোপাধ্যায়। চতুর্থ স্থানে কলকাতার জাহ্নবী শ এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছেন কোচবিহারের কৌস্তভ চৌধুরী।ষষ্ঠ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সৌম্যপ্রভ দে । সপ্তম স্থান দখল করেছেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা দেবরাজ কর্মকার। অষ্টম স্থানে রয়েছেন কলকাতার অগ্নিধ্র্য দে। নবম স্থানে হাওড়ার অয়ন অধিকারী এবং দশম স্থানে কলকাতার শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে অনলাইন কাউন্সিলিংয়ের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা শুরু হবে বলেই আশাবাদী জয়েন্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ।