Date : 2024-04-23

প্রকাশিত থার্ড সেন্টিনাল সার্ভের রিপোর্ট, সংক্রমণের নিরিখে রঙ দিয়ে চিহ্নিত হবে এলাকা

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ দেশে ফের বাড়ছে করোনা।রাজ্যের পরিস্থিতি আপাত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও কোন ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর তাই করা হয়েছিল থার্ড সেন্টিনাল সার্ভে। সেই সমীক্ষা থেকে জানা গেছে রাজ্যে মোট ৫ জায়গায় সংক্রমণের হার আপাতত বেশি।

যে ৫ জায়গায় সংক্রমণ আপাতত বেশি এই জেলাগুলি হল উত্তর ২৪ পরগণা বসিরহাট, দুই মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম। এর মধ্যে বসিরহাটে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সংক্রমণের হার ১.১৬শতাংশ।

তবে শুধু জেলা নয় বিধাননগর নিউটাউন এলাকাতেও আক্রান্ত বাড়ছে। আর এই দুই জায়গা নিয়ে বেশ চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। তাই আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই দুই জায়গার ওপর বিশেষ ভাবে নজর রাখার জন্য। কারণ এই দুই জায়গায় যদি সংক্রমণ বাড়ে সেক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে শহর কলকাতার ওপরেও। ফের লাগামছাড়া হয়ে যাবে পরিস্থিতি।

তাই স্বাস্থ্য দফতর বিশেষ ভাবে নজরে রাখছে বিধাননগর এবং নিউটাউনের এনকেডিএ এলাকার ওপর। শুধু এই দুই জায়গাই নয়। স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আছে হাওড়া পুরসভা এলাকা, উত্তর দমদম -মহেশতলা পুর এলাকা।

এবার থেকে সংক্রমণের নিরিখে সেই জায়গাকে রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হবে। জানা গেছে কোন জায়গায় এক সপ্তাহে দশজনের বেশি আক্রান্ত হলে তা চিহ্নিত হবে পিংক জোন হিসাবে। ৫-এর কম হলে ব্ল্যাক জোন।আক্রান্তের সংখ্যা ১ বা ০ হলে গ্রিন জোন।

অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা। এখনও অবধি মাত্র ৩০ লক্ষ মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। রাজ্যে এখনও ৪কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের বুস্টার টিকা নেওয়াই হয়নি৷ বুস্টার টিকা নিয়ে বেশ পিছিয়েই আছে রাজ্য।

মূলত উপসর্গহীন ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জানতে হয়েছিল এই থার্ড সেন্টিনাল সার্ভে। রাজ্যের মোট ২৮টি জেলায় এই সার্ভে হয়েছে। মোট ১১২০০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে লাগামছাড়া না হয় তাই আগেভাগেই সব প্রস্তুতি সেরে রাখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।