Date : 2024-04-20

ফের ‘প্রাণঘাতী’ খুঁটি, বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে হরিদেবপুরে মৃত্যু কিশোরের

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ সবে বর্ষা প্রবেশ করেছে কলকাতায়। আর তার মধ্যেই জমা জলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাল এক বছর বারোর কিশোর। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় কলকাতা।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুরে।রবিবার রাত্রিবেলা পড়তে বেরিয়েছিল নীতীশ যাদব নামে বছর বারোর এক কিশোর। গতকাল বৃষ্টির জেরে রাস্তায় জমেছিল জল।নীতীশ গোড়ালির উপরে ওঠা সেই জল ঠেলতে ঠেলতে এগোচ্ছিল। হাতে ছিল একটি সাদা প্যাকেট। এভাবেই কিছুটা যেতেই শিক্ষকের বাড়ির সামনে এক বিদ্যুতের খুঁটির সামনে তার পায়ে কী যেন একটা লাগে। ওটাই বোধহয় মারণ ফাঁদ ছিল। ছেলেটি এরপরই রাস্তার ধারের ওই বিদ্যুৎ খুঁটি ধরে পা দেখবে বলে মনস্থির করে। তাতে হাত ছোঁয়াতেই হুড়মুড়িয়ে গিয়ে পড়ে জলে। তারপর সবটা শেষ। একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এই ঘটনা নজরে পড়েছে।

এলাকার বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন সিইএসসি অফিসে তবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতে লেগে যায় আরও ঘন্টাখানেক। তারপর পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় গোটা এলাকায় এমনকি তার স্কুলেও এখন শোকের ছায়া।নীতিশ খুব ভাল ছিল, টিফিন শেয়ার করত, বলছে তার বন্ধুরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ক্লাসে ক্লাসে পাঠ দিচ্ছেন, কেন তারা বর্ষায় বাইরে বেরোবে না, ইলেকট্রিক তার খোলা পড়ে থাকলে তাতে হাত দেবে না।

ঘটনার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই বাকরুদ্ধ নীতিশের মা। কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানিয়েছেন যে “ওকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। রাস্তায় জল জমে গিয়েছে জানতাম না। আমাকে একজন বলছে ওখানে কার ছেলে পড়ে আছে। আমি বললাম, এক্ষুণি তো ছেলেটাকে পাঠালাম। ছুটে গেছি আমি। আমাকে তখন আর কেউ যেতে দিল না না। ওখানে সবাই ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় এক ঘণ্টা পর লাইট অফ করেছে। তারপর ওকে সরিয়েছে।”

এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন যে এই জল জমার সমস্যা বহু বছরের। কেউ সমাধান করেনা। ভোট আসে ভোট যায় তবে পালটায় না হরিদেবপুরের চেহারাটা।