Date : 2024-04-20

রাজ্যের উৎপাদনে রাজ্যের অধিকার। জিআই ট্যাগিং-এ জেলাস্তরে কমিটি গঠন নবান্নের।

সঞ্জু সুর,সাংবাদিক:- গত মঙ্গলবার বাঁকুড়ার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাশাসকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিখ্যাত ‘ডোকরা’ শিল্পের জিআই ট্যাগিং করা হয়েছে কি না। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী কে জানানো হয় ‘ডোকরা’ শিল্পের জিআই ট্যাগিং করানো হয়েছে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্যের বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ জিনিসের জিআই ট্যাগিং করানোর উদ্যোগ নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আমাদের জেলায় জেলায়, গ্রামে গ্রামে এমন অনেক জিনিস আছে যা সারা বিশ্বে আর কোথাও নেই। এইসব জিনিসের জিআই ট্যাগিং করানো হলে ও বিশ্বের বাজারে তা বিক্রির ব্যবস্থা করা গেলে আখেরে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের পক্ষ থেকে অর্ডার জারি করা হয়েছে। অর্ডার অনুযায়ী প্রতিটি জেলার জেলাশাসক কে মাথায় রেখে ২১ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটা জেলায় এই কমিটি কাজ করবে। মূলতঃ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খোঁজ খবর করে যদি বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কিছু পাওয়া যায় তাহলে তার জিআই ট্যাগিং এর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। প্রসঙ্গত আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে দার্জিলিং চা (২০০৪) লক্ষণভোগ, ক্ষীরসাপাতি বা হিমসাগর, ফজলি আম(২০০৮), নক্সী কাঁথা ও শান্তিনিকেতন এর চামড়ার তৈরি জিনিস (২০০৮), ২০০৯ সালে শান্তিপুরী শাড়ি, ২০১২ সালে বালুচরি ও ধনেখালির শাড়ি, জয়নগরের মোয়া (২০১৫), ২০১৭ সালে বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা, ২০১৭ সালেই তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগ চাল, রসগোল্লা (২০১৭), ২০১৮ সালে বাঁকুড়ার টেরাকোটা ও ডোকরা শিল্প, ২০২১ সালে দার্জিলিং পাহাড়ের অন্যতম বিখ্যাত ডাল্লে লঙ্কা জিআই ট্যাগিং (ভূতাত্ত্বিক সনাক্তকরণ) পেয়েছে।