Date : 2024-04-25

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু কেকে-র: রিপোর্ট ময়নাতদন্তের

সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক: গুরুদাস কলেজের ফেস্টে এসে জীবনের শেষ অনুষ্ঠান করেন কৃষ্ণাকুমার কুন্নাথ। অনুষ্ঠান শেষের পরে অসুস্থতা বোধ করেন তিনি। আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান ছিল প্ৰখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কৃষ্ণাকুমার কুন্নাথের। গুরুদাস কলেজের ফেস্টে এসেছিলেন তিনি। কলকাতায় মোট ৩ টি শো করার কথা ছিল তাঁর। এরমধ্যেই বিপর্যয়।

মঙ্গলবার রাতে শো শেষ করার পর শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করেন কেকে। শো থেকে ফেরেন ধর্মতলার পাঁচতারা হোটেলে। যেখানে বিগত দুদিন ধরে ছিলেন তিনি। হোটেলের রুমে পৌছনোর সময় লিফটে অস্বস্তি অনুভব করেন কৃষ্ণাকুমার কুন্নাথ। রুমে গিয়ে রাতের খাবার অল্প খাওয়ার পর নিজের ব্যক্তিগত ম্যানেজারকে ডাকার পরই অচৈতন্য হয়ে পড়েন কেকে। হোটেল কর্তৃপক্ষের সাহায্যে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

বুধবার সকালে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। মুম্বাই থেকে কলকাতায় আসে তাঁর পরিবার। যে পাঁচতারা হোটেলে তিনি ছিলেন সেখানে যায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। পাশাপাশি ফরেন্সিক আধিকারিকরাও যায় ঘটনাস্থলে। বাজেয়াপ্ত করা হয় শিল্পীর ব্যবহৃত তোয়ালে ও রুমাল। রাতের খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। হোটেলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় তাঁর।

ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কেকের। রিপোর্টে “মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন” রোগের নাম উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। এই রোগের ফলে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের হৃদপিন্ডে রক্তের পাম্পিং বন্ধ হয়ে গেছিল। এর জেরে কেকে-র ফুসফুস ও মস্তিষ্কের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে কোন ব্যক্তির সুপ্ত হৃদরোগ থাকলে তাঁর “মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন” রোগটি হয়ে থাকে। প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পীর স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, কলকাতায় আসার আগে তাঁর হাত ও কাঁধে ব্যথা ছিল। এছাড়া গায়কের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ছিল। প্রায়ই তিনি অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেতেন। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে সঙ্গীত মহলে।