Date : 2024-03-19

অতিরিক্ত ঘাম হয়? অতিরিক্ত ঘাম ত্বকের যত্ন রাখে

রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্কঃ এক এক জনের ক্ষেত্রে ঘাম হওয়ার পরিমাণ আলাদা। কেউ কম ঘামেন। কেউ আবার বেশি ঘামেন। এমনকি, শীতকালেও ঘামেন অনেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও হাত-পা ঘেমে যায়। কিন্তু ঘাম নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না অধিকাংশই। অনেক সময় ঘাম অস্বস্তির কারণও হয়ে ওঠে। অত্যধিক তাপমাত্রা ঘামের একমাত্র কারণ নয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে কোনও শারীরিক কসরত করলেও অনেকে ঘেমে যান। তবে ঘাম আটকানোর কোনও উপায় নেই। শরীরের অতিরিক্ত জল এবং খনিজ পদার্থ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়াও ঘাম হওয়ার কিছু উপকারিতাও আছে। সেগুলি কী কী?

১) ঘাম হল জীবাণু এবং ব্যাক্টেরিয়া থেকে ত্বকের অন্যতম সুরক্ষা। ঘাম হওয়ার সময় ত্বকের ছিদ্রগুলি উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে ত্বকের কোষে জমে থাকা তেল, ময়লা ঘামের মধ্যে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই ময়লা ও তেল জমেই ব্রণ তৈরি। ঘাম ব্রণর সমস্যা প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও ত্বকের কোষগুলি প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন দিয়ে পুষ্ট করে ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

২) শরীরচর্চার পর যে ঘাম হয় তা আসলে জমে থাকা ক্যালোরি। প্রতি দিন এ ভাবে নিয়ম করে ঘাম ঝরালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

৩) বিভিন্ন খনিজ পদার্থ কিডনিতে জমা হয়ে পাথরের সৃষ্টি হয়। ঘাম সেই খনিজ পদার্থগুলি শরীরের বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে। ফলে পিত্তাশয়ে পাথরের আশঙ্কা কম থাকে।

আবার বেশি ঘাম ক্ষতিও হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়, থাইরয়েড,ডায়াবিটিস, পার্কিনসন্স, ঋতুবন্ধের সময়, আর্থারাইটিসের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ক্ষতি।