Date : 2024-04-24

অপহরণ হওয়া শূকর ঘনার খোঁজে খোদ জেলার পুলিশ সুপার।নির্দেশ বিচারপতি শম্পা সরকারের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:-শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি শম্পা সরকার পুলিশের ভুমিকায় বিরক্ত! কারণ এখনও পর্যন্ত ঘনার খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ।পুলিশি তদন্তে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিচারপতি। আদৌ কি পুলিস তত্‍পর? প্রশ্ন উঠেছে হাই কোর্টে।

নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া শুয়োর ঘনার খোঁজে কল্যাণী থানারভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। পুলিস যা যা পদক্ষেপ, তাতে খুশি নন তিনি।

শুক্রবার মামলা শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সরকারি আইনজীবী উদ্দেশ্য প্রশ্ন অভিযোগের ভিত্তিতে কেনঅভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ অ্যানিমেল অ্যাক্টে অভিযোগ আনা হল না?আবেদন কারীর অভিযোগের ভিত্তিতে যে গাড়িতে ঘনাকে অপহরণ করা হয়েছে, সেই গাড়ির ভিডিয়ো থাকলেও, কেন অপহরণকারীরা চিহ্নিত হয়নি?

মামলাকারি আইনজীবী জানিয়েছেন ঘনা আসলে একটি শূকর। বাচ্চা বয়স থেকেই সে বেড়ে ওঠে কল্যাণী আদালত চত্বরে। আদালতে যাদের নিয়মিত যাতায়াত আইনজীবী থেকে বিচারক এবং অবশ্যই মামলাকারি ,তাদের স্নেহেই বড় হয়ে ওঠে ঘনা।

মামলার বয়ান অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ ২০২২সালে বিকেল ৫টা ৩০মিনিট নাগাদ একটি সাদা গাড়ি ঢোকে আদালত চত্বরে। সেই গাড়ি থেকে নেমে আসে ৪ জন। তারাই ঘনাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই ছবি ধরা পড়েছিল।কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেন আইনজীবী অনুমিতা ভদ্র। মামলাও হয় কল্যাণী এসিজেএম আদালতে। বিচারক নির্দেশ দেন যেভাবেই হোক ঘনাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু এখন ঘনার হদিস মেলেনি। এরপর মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে ।

বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দেন অবিলম্বে কল্যাণী থানার তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিস সুপারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।এবং নদিয়ার পুলিস সুপারের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। দ্রুত তদন্ত করে পুলিসকে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কল্যাণী আদালতের জন্য পুলিসকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।পাশাপাশি এদিন মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি সরকার।