মৈনাক মিত্র,সাংবাদিক; এজবাস্টন টেস্টে হার ভারতের। জোড়া শতরান জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টোর। শেষ দিনে লাঞ্চের
আগেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। শেষ দুই দিনেই ভারতীয় বোলার এবং ফিল্ডাররা বারংবার
ব্রিটিশ ব্যাটারদের সুযোগ দিয়ে গেছেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই ম্যাচে চেপে বসে ইংল্যান্ড। তারই সুবাদে অসমাপ্ত টেস্ট
সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিলেন বেয়ারস্টো-রুটরা। সুযোগ ছিল এই সিরিজ জয়ের। সেই মতো ব্যাটাররা চতুর্থ ইনিংসে
ইংল্যান্ডের সামনে 378 রানের টার্গেটও রেখেছিলেন। কিন্তু বোলিং বিপর্যয় এবং বেশ কয়েকটি ফিল্ডিং মিসের সৌজন্যেই ম্যাচ
হাতছাড়া করল ভারত। সিরিজ শেষ হল 2-2 ফলে।ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডকে জেতাতে বড় ভুমিকা
নিলেন জনি বেয়ারস্টো। বিরাটের সঙ্গে মাঠেই জড়িয়েছিলেন বাগবিতন্ডায়। কিন্তু যতই সময় গেল, ততই তাঁর খেলায় ধার
বাড়ল। শাসন করা শুরু করলেন বুমরাহ, সিরাজদের। ওয়ান ডের ঢংয়েই চতুর্থ ইনিংসে রান তুললেন বেয়ারস্টো। দলে জাদেজা
ছাড়া দ্বিতীয় কোনও স্পেশালিস্ট স্পিনার না থাকায় উঠছে প্রশ্ন। অশ্বিনের পরিবর্তে শর্দুল ঠাকুরকে খেলানো হলেও বল এবং
ব্যাট উভয় বিভাগেই ব্যর্থ হলেন শর্দুল। ফলও ভুগতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। ভারতীয় দলের খারাপ পারফরমেন্সের পরই মুখ
খুললেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ রবী শাস্ত্রী। তিনি বলছেন, ভারতীয় ব্যাটাররা অতিরিক্ত ধীর গতিতে খেলায় ইংল্যান্ডকে ম্যাচে
ফিরতে সাহায্য করেছে। চতুর্থ দিনে মধ্যাহ্নভোজের পর যেভাবে ভারতীয় ব্যাটাররা অতিরিক্ত ধীর গতিতে খেলেছে, তাতেই
সুবিধা হয়েছে ইংল্যান্ডের বলছেন শাস্ত্রী। বলাই বাহুল্য, তার সময় টেস্টে ভারতীয় দলের পারফরমেন্স যথেষ্টই ভালো ছিল।
জুটিতেও বিরাট-শাস্ত্রী জুটির পরিসংখ্যান ছিল ইর্ষা জাগানোর মতোই।