Date : 2024-04-19

জনস্বার্থে জমি দেওয়ার পর কেন সরকারে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হবে ক্ষতিপূরণের জন্য : হাইকোর্ট

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক ঃ

জমিদাতারা জমি দেওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কেন বার বার সরকারি দপ্তরে দপ্তরে দরবার করবেন, এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। জমিদাতাদের কাছ থেকে জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে তাই সরকারেরই দায়িত্ব, জমিদাতাকে তার ন্যায্য ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা করা। উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণে যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগে মামলায় এই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য্যের।

সোমবার আদালত ওই মামলায় এক গুচ্ছ নির্দেশ দেয়। সেখানে এই মামলাকারীদের জমি নেওয়ার জন্য কি কি ভাবে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ হয়েছে, সেই হিসেবের নথি এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন কে। সেই নথি খতিয়ে দেখার পর আপত্তি জানাতে নতুন করে আরবিট্রেশন বা মধ্যস্থতার জন্য ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে আবেদন করবেন তারা। তার পরের ছ মাসের মধ্যে ওই আবেদনের মীমাংসা করতে হবে। এবং পুরনো আইন নয়, ২০১৩ সালের কেন্দ্রের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করতে হবে।

মামলাকারিদের আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, কয়েকদিন আগে তথ্যের অধিকার আইনে রাজ্য জানিয়েছিল, এই রাজ্যে জমি অধিগ্রহণে কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকর করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে। তবে জাতীয় সড়কের জন্য অধিগ্রহণে ওই আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এবার হাইকোর্টও নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় রাজ্যের বহু এলাকায় জমিদাতারা উপকৃত হবেন। নির্দেশ কার্যকর হলে, বহু মামলাও সেক্ষেত্রে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।

আলিপুর দুয়ারের চ্যাংপাড়া মৌজার তপন দত্ত, সুশীল রায় ও কবিচন রায়ের দায়ের করা মামলায় জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দেয়।

আইনজীবিদের মতে, ২০১৫ সালে এই অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে তাই ২০১৩ সালের নতুন আইনের প্রয়োগ এই ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে চেয়েছে আদালত।