Date : 2024-04-26

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোন দুর্নীতি হয়নি।স্বাচ্ছতা মেনেই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে জানালো রাজ্য সরকার

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা

বৃহস্পতিবার মামলার তৃতীয় দফায় শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য পক্ষের আইনজীবী জয়দীপ কর আদালতে জানান সিঙ্গেল বেঞ্চ ২৭৪৭ জনের ওয়েমার সিট আবেদনকারীদের দিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।যা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জমা দিতে প্রস্তুত ছিল।কিন্তু এর পরেও সিঙ্গল বেঞ্চ টা বিশ্বাস করেনি ।সমস্যা হচ্ছে ওই দ্বিতীয় প্যানেল লিস্ট নেওয়া যেত কম্পিউটার প্রিন্ট থেকে ।২৭৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয় সেই প্যানেলের মাধ্যমে । নিয়োগের যাবতীয় তথ্য বোর্ডের কাছে আছে ।আদালত চাইলে জমা দিতে পারে । সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিএসেফেল হায়দ্রাবাদ গিয়েছে।পর্ষদ একবার তাঁর বিরোধিতা করে নি।সিঙ্গল বেঞ্চ যে বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই বৈঠকের মিনিট বুক চাইলেন না কেন?। সব কিছুর একটা নিয়ম আছে ।সিঙ্গল বেঞ্চ তার কিছুই মানেননি।

প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের প্রশ্ন আপনার মত অনুযায়ী কি করা উচিৎ ছিল সিঙ্গল বেঞ্চের ?

আইনজীবী জয়দীপ কর উত্তরে বলেন পার্ষাদের যদি কোন ভুল হয়ে থাকে সেটার জন্য বিভাগীয় তদন্ত করার নির্দেশ দিতে পারতেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।তিনি তা না করে পর্ষদ সভাপতি বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যে প্রশ্ন ভুল বলে সমস্যা ছিল তার উত্তর নিয়েও নানান লোকের নানান মত ।তবুও নম্বর দেয়া হয়েছে ।আদলতের ও কিছু জায়গায় থামা উচিত ।আমার সম্পত্তি আমার (মানিক ভট্টাচার্য )পরিবারের সকলের সম্পত্তি র হদিস চেয়েছে আদালত।

রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল সামেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে জানান প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার সাথে রাজ্যের সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও এটা রাজ্যের স্কুল গুলোর জন্য নিয়োগ হওয়া শিক্ষক দের বিষয় ।২৬৫ জন শিক্ষক এর নিয়োগ নিয়ে সমস্যা । তাদের নিয়োগ হয়েছে চার বছর পর।যাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ সেই শিক্ষকদেরই এই মামলায় যুক্ত করা হয়নি।অথচ তাঁদের নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলে মামলা।যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে অভিযোগ করেন এজি।

যাঁরা চাকুরী হারিয়েছেন আদালতের নির্দেশে তাঁরা প্রত্যেকে সরকারি কর্মচারী।যাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তাঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পেলেন না।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যায়না ।প্রথম প্যানেলে সম্পূর্ণ নিয়োগ হয়ে যাওয়ার পরই দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ করেছিল পর্ষদ।কারণ অনেক শূন্যপদ তৈরি হয়েছিল। সেটাকে নতুন প্যানেল হিসেবে ধরে নেবার কোন কারণ নেই তেমনি এর জন্য চাকরি যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না ।যাঁরা যাঁরা পর্ষদের কাছে আবেদন করেছিলেন এবং যাঁরা আদালতে মামলা করেছিলেন শুধুমাত্র তাঁদেরই ওই ১ নম্বর দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন এজি।তিনি জানান বাকিদের দেওয়া হয়নি, কারণ যাঁরা মামলা করেছিলেন হাইকোর্ট নির্দেশে শুধুমাত্র তাদেরই ১ নম্বর দিয়েছিল পর্ষদ।তারা চার বছর পর চাকরি পেয়েছে।

রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশ্যবিচারপতির প্রশ্ন সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার আবেদন কি ছিল ? উত্তরে এডভোকেট জেনারেল জানান মামলাকারীদের দাবি ছিল চাকরি বিক্রি করা হয়ছে।তাই এই মামলার তদন্ত একমাত্র সিবিআই এর করা উচিত ।
মামলা এলো যখন কিছু প্রাথমিক শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করে বললো তারা ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে ।যেহেতু বোর্ডের প্রশ্নটি ভুল ছিল তাই বোর্ড ওই নম্বর দেবে।বিচারপতি সমাপ্তি চ্যাটার্জি নির্দেশ দিয়েছিলেন যাঁরা যাঁরা ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন এবং সেই সময় নম্বর পেতে আদালতে মামলা করেছিলেন শুধুমাত্র তাঁদেরই নম্বর দেয়া হোক। তাই যারা মামলা করেছিলেন তারা নম্বর পেয়েছেন। স্বাচ্ছতা মেনেই নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছে।এখানে কোনো দুর্নীতি নেই ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ এ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা বোর্ড ও চাকরি হারানো প্রার্থীর ।