Date : 2024-04-20

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের রিপোর্ট তলব বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক ঃ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি কতদূর পাশাপাশি সিবিআই তদন্তে কি কি তথ্য উঠে এসেছে আগামী মঙ্গলবার এর মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেওয়ার নির্দেশ।

সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্লদল ভট্টাচার্য্য জানান সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ তদন্ত শুরু করেছে।তাঁর ই মাঝে সিবিআই জানিয়েছেন ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় দুর্নীতি হয়েছেন। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন মামলার গ্রহণযোগ্য তা রয়েছে।কারণ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন।

সিবিআই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করেছে।এখন পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কতদূর সিবিআই তদন্ত করছে তাঁর প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।

মামলাকারি জয়তি দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় পক্ষের আইনজীবী আশিষ কুমার চৌধুরী আদালতে প্রশ্ন তুললেন টাকার বিনিময়ে যে চাকুরী দেওয়ার যে অভিযোগে তাঁর তথ্য প্রমাণ ছাড়া কি ভাবে মামলা হয়েছে? তাঁর গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে।কারণ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলাকারিদের পক্ষ থেকে কোন তথ্যই তাঁরা আদালতে জমা করতে পারেনি।পাশাপাশি নিয়ম মেনে RTI( তথ্যের অধিকার আইনে) মাধ্যমে পর্ষদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তিনি জানতে পারেন ৬ নম্বরের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরও কেন তাঁকে ১ নম্বর দেওয়া হয়নি। এবং পরবর্তীতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতেই পর্ষদ তাঁদের ভুল স্বীকার করে জয়তী র এক নম্বর বাড়িয়ে দেন।তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার তিনি মামলাকারি র আইনজীবী আশিষ কুমার চৌধুরীর উদ্দেশ্য বলেন মামলায় অর্থের বিনিময়ে যে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে আগে কেউই উল্লেখ করেন নি ।এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদালতে উত্থাপন করলেন।

তবে ডিভিশন বেঞ্চ একটা বিষয় সকল চাকরি খোয়া যাওয়া প্রার্থীদের কাছে জেনে নিতে চাইছেন দ্বিতীয় প্যানেলে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা কিভাবে চাকরি পেলেন? তাঁদের নম্বর কম আছে? চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা কি করেছিলেন।

পর্ষদের পক্ষ থেকে আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান পর্ষদ একক ভাবে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন ২৮ই জুন। ২৬৯ জন চাকরি প্রার্থীদের কেন কীভাবে নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়েছিল……..

#আবেদনকারী দের মধ্যে কারা কারা ভুল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিল।

দ্বিতীয়ত যাঁরা যাঁরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত/প্রশিক্ষন প্রাপ্ত নয়,বিচার করেই নিয়োগ করা হয়েছিল।
২৭৩জনের এক নম্বর কম ছিল।তাঁরা আবার ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন।ভোল বদল পর্ষদের।

আগামী কাল শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি।