Date : 2024-04-18

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মানস মাইতির সরিয়ে দেওয়া এবং তাঁর বিরুদ্ধে চিঠি লেখায় উপাচার্যকে তীব্র ভৎসনা করল হাইকোর্ট

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:-ইউরোপের ‘সার্নে’ ঈশ্বর কণা নিয়ে গবেষণায় যুক্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মানস মাইতির সরিয়ে দেওয়া এবং তাঁর বিরুদ্ধে চিঠি লেখায় উপাচার্যকে তীব্র ভৎসনা করল হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর মন্তব্য, “অত্যন্ত নিম্ন মানসিকতা পরিচয় দিয়েছেন উপাচার্য। তিনি ওই পদে বসার যোগ্য কিনা তার নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি”। ঘটনা হল, ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি মানসবাবুকে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মানসবাবু।

হাইকোর্ট তখন নির্দেশে জানায় বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। কিন্তু গত ৭ জুলাই উপাচার্য কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে চিঠি লিখে জানান, মানস মাইতির তত্ত্বাবধানে সার্নের মত কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে কোনও প্রকল্পের ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। এবং ওই চিঠিতে উপাচার্য তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপমান জনক মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ। যার জেরে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ মানস বাবুকে চিঠি লিখে জানায় তার তত্ত্বাবধানে ওই প্রকল্পের ছাড়পত্র দেওয়া যাচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের হাইকোর্টে আসেন মানস বাবু।

বুধবার বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যর এজলাসে মামলার শুনানি হলে উপাচার্যকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এবং কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ওই চিঠিটি খারিজ করে দেন বিচারপতি ভট্টাচার্য। অর্থাৎ আপাতত ওই চিঠিটি আর কার্যকরী হবে না।