Date : 2024-04-19

“মেঘের আড়াল থেকে দুর্নীতির প্রশ্রয় দিচ্ছে রাজ্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বললেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য”

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক:-শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় পর্ষদের পক্ষের আইনজীবী কিশোর দত্ত ডিভিশন বেঞ্চে মামলার গ্রহণযোগ্য ফের একবার প্রশ্ন তুললেন।প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুটি বিভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রথমতঃ মেধার ভিত্তিতে দ্বিতীয়ত প্রাক্তন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের পূর্বের নির্দেশে পর্ষদের ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নম্বর পাওয়া প্রার্থী।এই দুটি বিষয় সামনে রেখেই নিয়োগ করা হয়েছিল। পর্ষদের প্রশ্ন ভুল বিষয়টা সামনে আসা এবং আদালতের নির্দেশের পরই পর্ষদের পক্ষ থেকে নম্বর বাড়ানো হয়।নিয়োগ আইন মেনেই করা হয়েছে বলে দাবি পর্ষদের।
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার পর্ষদের আইনজীবীর উদ্দেশ্য ,সমস্যাএক নম্বর দেয়া নিয়ে ।চাকরি প্রার্থী দের দাবি এটা স্বাভাবিক নিয়ম মেনে নিয়োগ নয়,একটা দুর্নীতি!এবিষয়ে পর্ষদের বক্তব্য কি?
উত্তরে বোর্ড আইনজীবী জানান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম বা আইন রয়েছে তা মেনেই নিয়োগ করা হয়েছে এবং অবশ্যই স্বচ্ছতা বজায় রেখে।যারা ১ নম্বরবাড়ানো নিয়ে অভিযোগ তুলছেন সঠিক নয়। অভিযোগ আছে মামলাকারি দের তবে এখনও পর্যন্ত কেউই ক্রিমিনাল আইনে মামলা করেনি কারণ এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ।

অভিযোগকারী প্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে এদিন জানান এই মামলায় রাজ্যের ভূমিকা “মেঘের ভিতর থেকে যুদ্ধ করার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে” ।এ যেন রামায়ণের ইন্দ্রজিতের মতো মেঘের আড়াল থেকে রাজ্য দুর্নীতি তে সাহায্য করছে । সিবিআই রিপোর্ট এ বলেছে বেশ কিছু পরীক্ষার্থী সাদা খাতা জমা দিয়েছেন । তারাও চাকরি পেয়েছেন ।বোর্ড সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে জানিয়েছিল তারা বিক্ষোভকারী দের চাকরি দিয়েছিল ।কখনো বলছে ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে প্রার্থীদের চাকরি দিয়েছে ।কখনো মেধা প্রার্থীদের।পর্ষদের দেওয়া তথ্যের সমস্যা রয়েছে ।মামলা চলছে দেখে প্রাক্তন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর উপেন বিশ্বাস নিজে আদালতে এসে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন।
বোর্ড দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশ করলো অথচ চাকুরী প্রাথীদের অনেকেই তা জানতে পারলেন না।কারণ দ্বিতীয় প্যানেলের নিয়োগটাই সম্পূর্ণ বেআইনি ।প্যানেলের বৈধতা নিয়ে সংশয় রয়ছে ।২৬৭ জনের মধ্যে চারজন মামলা করেছিল তাই চাকরি দিয়েছে ।বাকি দের বোর্ড চাকরি দিলেন কি করে ? উঠছে প্রশ্ন ।
বিচারপতি তালুকদার বিকাশ বাবুকে প্রশ্ন আপনি কি চাইছেন ? উত্তরে
বিকাশ বাবু জানান স্বাচ্ছতা যদি থাকে তাহলে পর্ষদ কেন ওয়েমার সিট দিচ্ছেন না। স্বচ্ছ ওয়েমার সিট দিয়ে নিয়োগ নিয়ম মেনে করা হোক।দুর্নীতি সামনে আসুক ।দোষী র শান্তি পাক ।এটাই চাইছিলাম আমি ।

মামলার শুনানি শেষে আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি