মৈনাক মিত্র, সাংবাদিক; রবিবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে খেলতে নামছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে হারের পর তৃতীয় ম্যাচ ভারতের কাছে ডু অর ডাই। এটাই সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে
ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ যে অনদ্য ঢংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিল, দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই সাবলিল ভঙ্গিমা উধাও হয়ে যায়
ব্যাটারদের মধ্যে থেকে। সুর্যকুমার, রোহিত, শিখররা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ফলস্বরুপ লজ্জার হার
স্বিকার করতে হয় রোহিতদের। বোলাররা প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটারদের
ব্যর্থতাই ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচে হারের কারণ। একই সঙ্গে পরপর ম্যাচে ক্যাচ মিস করছেন ফিল্ডাররা। যা নিয়ে চিন্তা থেকেই
যাচ্ছে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার। চলতি বছরে রয়েছে টি20 বিশ্বকাপ। তার আগে যদি ক্যাচ মিসের বদ অভ্যাস না
যায়, সেক্ষেত্রে ভারতের জন্য বিপদজনক হতে পারে। বিরাট কোহলির কাছেও এই ম্যাচ কার্যত বসিড টেস্ট। 2019 সালের পর
বিরাটের ব্যাটে আর বড় রান নেই। অর্ধশতরান এলেও আসেনি শতরান। বিদেশের মাটিতে একটা শতরান আসলেই বদলে যাবে
চিত্রটা। আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় যেমন ফের একবার উঠে যাবেন কোহলি, ঠিক তেমন ভাবেই সমালোচকদের মুখেও জবাব দিতে
পারবেন। একই সঙ্গে টি20 বিশ্বকাপের আগেও ফের একবার সুযোগ পাবেন কোহলি। রোহিত শর্মাও চাইছেন, দলের সেরা
তারকা যত দ্রুত সমভব ফর্মে ফিরুক। দীর্ঘদিন ধরে বিরাটের পাশে থাকায় রোহিতকে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, কেন নতুন
প্রতিভাদের সুযোগ দিচ্ছে না দল। ফলে কোহলির ব্যাটে রান আসা মানেই, ভারতীয় দলের অন্দরের গুমোট আবহাওয়ার সমাপ্তি।
একই সঙ্গে রোহিতেরও বাড়তি আক্সিজেন পাওয়া। তৃতীয় একদিনের ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গত ম্যাচের দলই অপরিবর্তিত রাখতে
পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। বাটলার, স্টোক্সদের বিপক্ষে বুমরাহ, সামিদের জলে ওঠার অপেক্ষায় মেন ইন ব্লুজরা। এখন দেখার
একদিনের সিরিজে শেষ হাসি কে হাসে।