Date : 2024-04-19

লক্ষী ভান্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্প মার খাচ্ছে সরকারি আধিকারীদের উদাসীনতার কারণে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- বিরল চর্ম রোগে আক্রান্ত শিশুর মা লক্ষী ভান্ডার পাচ্ছেন কিনা জানেন না পঞ্চায়েত প্রধান বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

হুগলির জিরাট চর খয়েরা মারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে চাঞ্চল্য কর তথ্য এসেছে। স্পেশাল অফিসাররা জানিয়েছেন এক ছাত্র একটি বিরল চর্মরোগে ভুগছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তার অসহায়তার কথা। প্রধান শিক্ষক কিছু বলতে পারেনি শুধু বলেছেন এর কিছু করা যাবে না। ওই শিশু টির বাবা চাষী যেমন টা জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। সহপাঠীরা তাকে ঘৃনা করে বলে ওকে স্পর্শ করবেন না ও নোংরা। ছাত্রটি সামাজিক অস্পৃশ্যতার ভুগছে ও মানসিক ভাবে আঘাত প্রাপ্ত। আদালত চোখ বুজে থাকতে পারে না ওই সরল শিশুর কষ্ট দেখে। গ্রাম পঞ্চয়েতের প্রধান অনিচ্ছা এবং গং গচ্ছতি মনোভাব দেখে আমি বিস্মিত। যিনি জানেন ও না যে ওই ছাত্র র মা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা টুকু পান কিনা । চেয়ারম্যান শিল্প নন্দী কে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যের সাস্থ্য দপ্তর এর সঙ্গে কথা বলে জেলা হাসপাতালে পাঠাতে হবে। প্রধান জানিয়েছেন ওখানে চর্ম রোগের বিভাগ রয়েছে। দু সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হবে। যাতে চিকিৎসা শুরু হয় এবং ইমামবাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক দের মতামত নিতে হবে চেয়ারম্যান ও। এবং টা আদালত কে জানতে হবে 23 আগস্ট।

গ্রাম পঞ্চয়েত প্রধান কে প্রশ্ন) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের**
বিচারপতি – ওর মা লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পান কিনা জানেন
প্রধান সুচন্দা রয়-না জানি না ।
বিচারপতি – আপনারা আছেন কি করতে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পায় কিনা খোঁজ ও নেননি? এটা লজ্জার বিষয়। আপনদের জন্য সমস্ত সামাজিক প্রকল্প মার খায়। খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট করবেন।
আপনার ওখানে ভোটার সংখ্যা কত
প্রধান- ৩৫ হাজার)
সম্পাদক স্বপন কুমার দাস স্কুল বিল্ডিং নিয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া হয় নি। আদালতের কাছে বিষয়টি লুকিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত স্কুলের একটি মাঠ , দুর্গা মন্ডপ, রাস্তা, সব ছিল কিন্তু নদী ভাঙনে সব প্লাবিত হয়েছে। বর্তমান অবস্থা যা হয়েছে পুরোটাই ভাঙনের কবলে পড়বে স্কুল বিল্ডিং নদী গর্ভে তলিয়ে যাবে।
স্পেশাল অফিসার জানিয়েছেন
অবিলম্বে স্কুল বিল্ডিং খালি করতে হবে।
স্কুল সরাতে সাড়ে তিন লক্ষ খরচ । খরচের হিসাব দিতে হবে । প্রধান কে খরচ সমস্ত বিল জমা করতে হবে।
কাল থেকেই অস্থায়ী জায়গায় স্কুল শুরু করতে হবে।
তার আগে চেয়ারম্যান কে ওই অস্থায়ী নির্মাণের ওই এলাকা পরিদর্শন করতে হবে। এবং বিস্বব্রত বসু মুল্লিক কে রিপোর্ট কাল পাঠাবেন।
এলাকার জঙ্গল পরিষ্কার করতে হবে। পঞ্চায়েত তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঝোপ ঝার পরিষ্কার করতে।
নতুন ভবন তৈরির জন্য টেন্ডার ইস্যু হয়েছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা অন্যরা পাচ্ছেন কিনা জানেন?
হ্যা পাচ্ছেন।
এটা জানেন কিন্তু ওই শিশুর পরিবার পাচ্ছে কিনা জানেন না ?
আগামীকাল বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি।