Date : 2024-04-20

সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নিরাপত্তা কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।আগামী ১০দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : সাংসদ অর্জন সিংহের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় তাঁর আইনজীবী সপ্তাঙ্গসু বসু জানান আমি বিজেপির সংসদ। আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর z প্লাস নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়।৫ জুলাই নোটিস করা হয়। ৬ জুলাই প্রত্যাহার করা হয়। আমার হুমকির এখনও আছে।
বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য প্রশ্ন শাসক দলে যোগদান করার পর প্রত্যাহার করা হয়? এখন কোন রাজনৈতিক দলে আছেন? আপনার আবেদন কি?
উত্তরে অর্জুনের আইনজীবী জানান তৃণমূল ছাড়ার পর রাজ্য নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা। ২০১৯ সালে একি ভাবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। হালাতে নির্দেশে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে Y ক্যাটাগরি পড়ে Z প্লাস। আমার আবেদন Z প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হোক।
কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্লোদ্বল ভট্টাচার্য জানান একজন সংসদকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যের।রাজ্য যদি দিতে ব্যর্থ হয় তখন কেন্দ্র দেয়। ৯ মে ২০২২ অর্জুনকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। বোম মারা হয়। NIA তদন্ত করছে। নিরাপত্তা কখনও এক থাকে না। কখনও বাড়ানো হয় কখনও কমানো হয়। যে নমিত সিং যে হুমকি দিয়েছিল সে এখন জেলে। ইয়েলো বুকের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সেই ইয়োলো বুকের রিপোর্ট কখনোই প্রকাশ করা হয় না। বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।
কেন্দ্রের আইনজীবীকে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ভট্টাচার্যের প্রশ্ন আপনি কেন্দ্রের হয়ে s সবার করছেন না বিরোধী দলনেতার হয়ে সওয়াল করছেন।অর্জুনের আইনজীবীর উদ্যেশ্যে। নিরাপত্তা দেওয়া হয় যদি হুমকি থাকে। রাজনীতি দলবদলের জন্য নয়।
রাজ্য, অনির্বাণ রায় :– ১৭ সংসদ এমনকি বিজেপির পোস্ট হোল্ডার দেরও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য:– আমি রিপোর্ট চাইছি ।
সাংসদের আইনজীবী বলেন নিরাপত্তা নেই। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত আমাকে নিরাপত্তা দেওয়া হোক। ব্যারাকপুর এলাকায় প্রতি নিয়ত গন্ডগোল হচ্ছে। এখনো কোনো নিরাপত্তা নেই। Y ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হোক।
বিচারপতি রাজ্য সরকারের আইনজীবী র উদ্দেশ্য ওনাকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যের। আমি দেখেছি রাজনৈতিক নেতারা সব সময় ১০০ জন অনুগামী পরিবেষ্টিত হয়ে থাকে।
১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে।ইতিমধ্যে রাজ্য নিরাপত্তার বিষয় দেখে নেবে।পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই*