সঞ্জনা লাহিড়ী, সাংবাদিক:- স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে দুধকে টেক্কা দেয় এমন সুষম খাবার খুব কমই আছে। দুধ কী ভাবে যত্নে রাখে শরীর, তা অজানা নয় কারও। সদ্যোজাত শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ, সকলের জন্য ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, মাল্টি- ভিটামিন সমৃদ্ধ দুধ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে হাড় এবং দাঁত মজবুত রাখতে দুধের জুড়ি মেলা ভার। বিপাকক্রিয়া উন্নত করতেও দুধ সাহায্য করে। সকালের জলখাবারে অনেকেই দুধ রাখেন আবার কেউ রাতে ঘুমানোর আগেও দুধের গ্লাসে চুমুক দেন। উন্নত জীবনযাপন ও ব্যস্ততার ভিড়ে গোয়ালার থেকে নেওয়া দুধের চল প্রায় নেই বললেই চলে, তুলনায় প্যাকেটজাত দুধ কিনে খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বর্তমানে। প্যাকেটের দুধ মানেই তা পাস্তুরাইজ করা। দুধ জীবাণুমুক্ত এবং সংরক্ষণ পদ্ধতির নাম পাস্তুরাইজেশন। বিশেষ পদ্ধতিতে উচ্চ তাপমাত্রায় পাস্তরাইজেশন করা হয়। অনেকে বলেন, পাস্তুরাইজেশন পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত করে বাজারে আসছে যে দুধ, তা ফোটানোর কোনও দরকার নেই।

কাঁচা দুধ খাওয়া কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর? একেবারেই না। চিকিৎসকদের মতানুযায়ী, কাঁচা দুধ না ফুটিয়ে খাওয়া একদম উচিত নয়। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি থাকে। কাঁচা দুধে নানা রকম জীবাণু বাসা বাঁধে। বাজার থেকে কিনে আনা প্যাকেটজাত দুধ সরাসরি খেলে শরীরের নানা ক্ষতি করে। দুধ ফোটালে উচ্চ তাপমাত্রায় সেই সব জীবাণু মারা যায়। কাজেই দুধ সবসময়ই ফুটিয়ে খাওয়া উচিত। কাঁচা দুধ খাওয়া নৈব নৈব চ।