মঙ্গলবার থেকে পথ চলা শুরু হল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের। শহরের পাঁচতারা হোটেলে ক্লাব কর্তা এবং ইমামি গোষ্ঠি তাদের চুক্তির কথা সরকারিভাবে জানালেন। ফুটবল দলের নতুন নাম ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যদিও আইএসএলে দল খেলবে ইস্টবেঙ্গল নামেই। মঙ্গলবার থেকে শুরু হল ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামির পথ চলা। চুক্তি সই আগেই হয়েছিল, সেই চুক্তিপত্র সরকারিভাবে প্রকাশ হল এদিন শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে। ঝাঁচকচকে অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব কর্তা এবং ইমামি গোষ্ঠির ডিরেক্টর উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হল নতুন নাম ইমামি ইস্টবেঙ্গল। এবার থেকে এই নামেই মাঠে নামবে লালহলুদ, তবে তা ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। আইএসএলে, নিয়ম অনুযায়ি স্রেফ ক্লাবের নাম অর্থাত্ ইস্টবেঙ্গল নাম নিয়েই খেলবে। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের নতুন লোগো প্রকাশিত হয় এদিন। ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার, শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের উপস্থিতিতে আদিত্য আগরওয়াল জানিয়ে দিলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল গড়বেন তাঁরা। উপস্থিত লালহলুদের প্রাক্তন ফুটবলাররাও গর্জে উঠলেন জয় ইস্টবেঙ্গল ধ্বনিতে। ভাস্কর,প্রশান্ত থেকে এদিনের মেহতাব।নবি,সৌমিক, দীপঙ্কর, ছিলেন সকলেই। সোনালি মূহূর্তে ক্লাবের সঙ্গে কিভাবে এক হয়ে কাজ করা যায় তাই বাতলালেন ইমামির কর্তারা। ইমামির ডিরেক্টর বললেন, ঐতিহ্যশালি ক্লাবের সঙ্গে তারা আগেও ছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যোগ দেওয়া তার কাছে গর্বের ব্যাপার। এবারের আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল গড়বে ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যে প্লেয়ার বাছাই হয়ে গেছে। কোচের ইচ্ছা মতোই প্লেয়ার নিচ্ছেন তারা। কেউই নিয়মরক্ষার খাতিরে দল গড়ে না। তারাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই দল করবেন। চলতি সপ্তাহ থেকেই অনুশীলনে নামবে লালহলুদ। ইতিমধ্যেই ঘরোয়া লিগের কোচ বিনো জর্জ কলকাতায় চলে এসেছেন। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানালেন, কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনের দেওয়া প্লেয়ার লিস্ট অনুযায়ি দল গঠন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। তারা খেলবেন ইস্টবেঙ্গল নামেই, অথচ পড়শি ক্লাবের নামের আগে অন্য একটি ক্লাবের নাম থাকায় মোহনবাগানকে বিধতে ছাড়লেন না দেবব্রত সরকার। সঙ্গে বললেন, যারা ক্লাবকে ছোট করেছেন, তারাই ছোট হয়েছেন। ডুরান্ড কাপের ডার্বিতেও মোহনবাগানকে বুঝে নেবেন, হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন লালহলুদের ক্যাপটেন দেবব্রত। শেষ কয়ে মাস ধরে ক্লাব এবং বিনিয়োগকারিদের দীর্ঘ টানাপোড়েনের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছিল দল গঠন নিয়ে। যদিও ইমামি গোষ্ঠি কর্ণধারের আশ্বাসের পর এখন অনেকটাই স্বস্তিতে লালহলুদ সভ্য সমর্থকরা। ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মধুচন্দ্রিমা পর্ব কত দীর্ঘ হয় এখন সেটাই দেখার। তবে লালহলুদ সমর্থকদের আশ্বস্ত করে দুই পক্ষই বললেন, এক্সিট ক্লজ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ফলে তারা যে কোনওভাবেই চুক্তি থেকে বেড়িয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেননি তা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। ফলে সমর্থকরা খুশি হতেই পারেন এই খবরে।