Date : 2024-03-28

ছেলের মৃত্যুর পর কথা রাখেনি বৌমা! শাশুড়ির দায়ের করা মামলায় আদালতে তলব বৌমাকে।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছেলে,তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের যাবতীয় দ্বায়িত্ব গিয়ে পড়ে বৌমার ওপরেই । কিন্তু ছেলের চাকরি পাওয়ার পরেই রূপ বদল করে বৌমা। আদালতের নির্দেশের পরেও পরিবারের দায়িত্বও নিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ বৃদ্ধা শাশুড়ির। বেতনের অন্তত কিছুটা অংশ দেওয়া হোক বৃদ্ধাকে ,এমনই দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী দুর্গাবালা মণ্ডল।

মামলার বয়ান অনুযায়ী মামলাকারী দুর্গাবালা মণ্ডলের পক্ষে আইনজীবী শৈবালকুমার আচার্য জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে বৃদ্ধার ছেলে ব্রজদুলাল আচার্যের রহস্য ভাবেই মারা যান । তিনি ছিলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। স্বামীর মৃত্যুর পর সেই চাকরি পান স্ত্রী কৃষ্ণা মণ্ডল। চাকরিতে যোগদানের সময় জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতরে বলে হলফনামা করে শপথ করেন যে চাকরির টাকায় শাশুড়ির দেখভাল করবেন তিনি।

মামলাকারি র অভিযোগ চাকরি পেতেই বদলে যায় বৌমার মতিগতি। ছেলেকে নিয়ে শ্বশুবাড়ি ছেড়ে চলে একমাত্র ছেলের বৌমা। পরে আর শাশুড়ির খবর নেননিবলে অভিযোগ। ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধা দুর্গাবালা মণ্ডল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বৃদ্ধার দেখভালের দায়িত্ব তাঁর পুত্রবধূর। আদালতের নির্দেশের পর এক মাস শাশুড়িকে ৭,০০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন কৃষ্ণাদেবী। ওই শেষ ,পিছন ফিরে আর তাকিয়ে দেখেনি বৌমা।

সন্তান হারা মা নিরুপায় বৌমার বিরুদ্ধে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হন। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের মঙ্গলবার মামলার সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি কৃষ্ণা মণ্ডলকে আদালতে তলব করেছেন। কেন তিনি শাশুড়ির দেখভাল করতে ইচ্ছুক নন তা জানতে চাইতে পারে আদালত। ২৯ অগাস্ট আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তাঁর হাজিরা নিশ্চিত করবেন সবং থানার পুলিশ।