Date : 2024-04-25

দিনভোর প্রস্তুতি, ৩৭০০ কেজির বিস্ফোরক, ৯ মিনিটেই ধূলিসাৎ হল নয়ডার টুইন টাওয়ার

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক:- দীর্ঘ ৯ বছরের মামলা। অবশেষে আজ, রবিবার ধ্বংস করে ফেলা হল নয়ডার টুইন টাওয়ার। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগেই ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফে নয়ডার এই বিশাল ইমারত ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। মাত্র ৯ সেকেন্ডের মধ্যেই ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে ভেঙে ফেলা হল

নয়ডার ‘এমারেল্ড কোর্ট’ প্রকল্পেই তৈরি হয়েছিল ৪০ তলা উঁচু দু’টি অট্টালিকা। যা উচ্চতায় কুতুব মিনারকেও ছাড়িয়ে যায়। দুই যমজ অট্টালিকার নাম, ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়ান’। বলা হয় যে গ্রেটার নয়ডার এই এলাকায় ১৪টি আবাসন ভবন তৈরি হবে। যার প্রত্যেকটি হবে ন’তলা উচ্চতার। কিন্তু ২০১২ সালে হঠাৎই বদলে যায় পরিকল্পনা। বদল হওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘এমারেল্ড কোর্ট’-এ ১৪টির বদলে ১৫টি আবাসন ভবন হবে। ন’তলার বদলে উচ্চতা হবে ১১ তলা। আর হবে নতুন দু’টি গগনচুম্বী অট্টালিকা যার উচ্চতা কুতুব মিনারকেও ছাড়াবে।

আশেপাশের আবাসনের বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন সবুজ ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই এই নির্মাণ ধ্বংস করা হবে। সেই মতই ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে ধূলিসাৎ করা হল টুইন টাওয়ারকে।

সকালেই গোটা এলাকা খালি করে ফেলা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ। এসে পৌঁছয় ইঞ্জিনিয়ার, এনডিআরএফ বাহিনীও। এই টুইন টাওয়ার ভাঙতে খরচ হল ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ কোটি টাকা দেবে নির্মাণকারী সংস্থা, বাকি ১৫ কোটি টাকা ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে রবিবার দুপুর আড়াইটেয় বাজল সাইরেন। এর পর শুরু উল্টো করে গোনার পালা। নয়, আট, সাত, ছয়, শূন্যে পৌঁছতেই ধুলোর মেঘ তুলে গায়েব জোড়া বহুতল। রবিবারের এই চরম মুহূর্তকে পরিণতি দিতে প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। জোড়া বহুতল ভাঙার আগে থেকে এবং পরে, সওয়া ২টো থেকে ২টো ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। ছিল ৫০০ পুলিশকর্মীর কড়া পাহারা। এত প্রস্তুতির অবসান হল মাত্র ৯ মিনিটেই