বঙ্গ সন্তান অচিন্ত্য শিউলির স্বর্ণ পদক জয় গর্বিত গোটা বাংলা। এবারের কমনওয়েল্থ গেমসে তিনি দেশকে এনে দিলেন তৃতীয় সোনা। বাঙালি হিসেবে তিনিই প্রথম যিনি কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণ পদক পেলেন। এর আগে বেশ কয়েকজন বঙ্গ সন্তান পদক জিতলেও, স্র্ণ পদক এল এই প্রথম স্বাভাবিকভাবেই তার সোনার মেডেল জয় স্বভাবতই খুশিতে আত্মহারা তার পরিবার, পরিজনরা। পুরুষদের 73 কেজি িভাগের ভারোত্তলনে মোট 313কেজি ওজন তোলেন অচিন্ত্যস্ন্যাচে 143 কেজি তোলেন অচিন্ত্য। ক্লিন জার্কে এর পরে 170 কেজি তোলেন হাওড়ার দেউলপুরের ছেলে অচিন্ত্য অভিষেকেই কমনওয়েল্থে স্বর্ণ পদক জিতে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক সময় সেলাইয়ের মেশিন চালানো অচিন্ত্য ক্লিন ইভেন্টে 143 কেজি তুলে রেকর্ডও করেন তিনি। মোট 313 কেজি তুলে নয়া রেকর্ড গড়েন তিনিজয়ের পর তার সাফল্য উত্্সর্গ করেছেন দাদাকে। এক সময় দাদা অলোক ভারোত্তলন করতেন। আর্থিক অনটনের জেরে খেলা ছেড়ে সংসারের হাত ধরেন অলোক। ফলে ভাই অচিন্ত্য নিজের স্বপ্ন পুরণের সুযোগ পেয়ে যায়। অচিন্ত্যর বাবা প্রয়াত হন 2013 সালে। 11 বছর বয়সে পিতৃহারা অচিন্ত্যর কাছে লড়াইটা কঠিন হয়ে ওঠে। তবু হার মেনে যাননি। কখনও মায়ের সঙ্গে সেলাই মেশিনে হাত দিয়েছেন। আবার তারপর চলে গেছেন ভারোত্তলন করতে। এভাবেই ওয়ার্ল্ড জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে আগেই পদক জিতেছিলেন কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপেও পদক ছিল তাঁর। এবার কমনওয়েলথ গেমসের মঞ্চে বার্মিংহ্যামেই দেশকে স্বর্ণ পদক এনে দিলেন 5ফুট 6ইঞ্চির ছেলেটা। রাত থেকেই বাড়িতে উপচে পড়েছে জনতার ভির। সকাল হতেই অচিন্ত্যর পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়ে যান বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলের এই কীর্তিতে স্বভাবতই খুশি পরিবার, পরিজনরা। আগামি দিনে অচিন্ত্য দেশকে অলিম্পিক্স পদকও দিক, আশায় বিওএ সভাপতি বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র 20 বছর বয়সেই হাও়ড়ার অচিন্ত্য বিশ্ব ক্রীড়ামঞ্চে নাম করে নিয়েছেন। এবার তার টার্গেট অলিম্পিক্স। এক সময় সপ্তাহে মাত্র 1000 টাকা রোজগার হত তাঁর পরিবারের। আর্থিক প্রতিকুলতা আধপেটা খেলেই লড়াই চালিয়েছেন দেশকে গর্বিত করার। দেশের হয়ে কমনওয়েল্থে সোনা জয়ের পর এখন পরিবারের আর্থিক অনটন ঘোচানো এবং অলিম্পিক্স পদক পাওয়াকেই টার্গেট করছেন হাওড়ার দেউলপুরের সিংহহৃদয় এই বঙ্গ সন্তান।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.