Date : 2024-04-19

বৃষ্টি ভেজা আবহাওয়ায় গরম ভাতের সঙ্গে রইলো অনেক রকমের পদের ভর্তা

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: গরম ভাতের সঙ্গে দুপুরে বা রাতে ভর্তা খেতে অসাধারণ লাগে। সেগুলো যদি হয় চিংড়ি ভর্তা, বেগুন ভর্তা, ডাটাশাক ইলিশের ভর্তা এবং নারিকেল চিংড়ির ভর্তা। পাতে এইসব পড়লে তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই।
১.চিংড়ির ভর্তা
উপকরণ: চিংড়ি, শুকনো লঙ্কা বা কাচা লঙ্কা, ১টি পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, সরিষার তেল, লবণ স্বাদমতো, পাতি লেবু,
প্রণালী:
চিংড়িগুলো ভালো করে বেছে পরিষ্কার করে ধুয়ে একটু গুঁড়া লাল মরিচ , হলুদ ও লবণে মাখিয়ে কড়াইতে অল্প তেলে কিছুক্ষণ ভেজে নেবেন। একটু ঠান্ডা হলে একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, কাচা লঙ্কা কুচি, লবণ, ধনে পাতা কুচি ভালো করে চটকে নিয়ে চিংড়িগুলো সব উপকরণের সাথে মেখে সরিষার তেল দিয়ে হাতে খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে। ভালো করে মাখানো হলে এক ফালি লেবুর রস ভর্তায় চিপে মেখে নিয়ে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।


২. ডাটাশাক ইলিশের ভর্তা

উপকরণ: ডাটাশাক এক আঁটি, পেঁয়াজ কুচি,কাঁচা লঙ্কা কুচি, রসুন কোয়া দুটি, ইলিশ মাছের টুকরা ২টি, সরিষার তেল,লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি : ডাটাশাক বেছে খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। এরপর শাকে একটু লবণ, দুই কোয়া রসুন আর কাঁচা লঙ্কা দিয়ে একটি পাত্রে অল্প জল দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ খুব বেশিক্ষণ করা যাবে না। শাকটা সেদ্ধ হলেই জল ঝরিয়ে নিতে হবে। ইলিশ মাছের টুকরোগুলো সামান্য নুন আর হলুদ মেখে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে কাঁটা বেছে নিতে হবে। এরপর একটি পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, নুন, কাঁচা লঙ্কা, সেদ্ধ শাক দিয়ে ভালো করে মেখে তারপর মাছগুলো তার মধ্যে মাখাতে হবে। এরপর সরিষার তেল দিয়ে মেখে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করতে হবে।


৩. নারিকেল চিংড়ির ভর্তা
উপকরণ: নারিকেল কোরা, এক কাপচিংড়ি, পেঁয়াজ কুচি, কাচা লঙ্কা কুচি, লবণ, সরিষার তেল।
প্রণালি: প্রথমেই কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি একটু ভেজে তার মধ্যে নুন দিয়ে হাল্কা ভাজা হয়ে গেলে চিংড়ি দিতে হবে। একটু নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে কোড়ানো নারকেল দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে। সব উপকরণ ভালো করে ভেজে নিয়ে ঠান্ডা করে একটা পেস্ট বানাতে হবে। তার মধ্যে সরিষার তেল দিয়ে মেখে নিলেই তৈরি।


৪. বেগুন ভর্তা:
উপকরণ: বেগুন, কাচা লঙ্কা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, ধনে পাতা কুচি, পাতি লেবু একটুকরো, সরষের তেল, নুন


প্রণালী: প্রথমে বেগুনের গায়ে একটু সরষের তেল মাখিয়ে নেবেন। তারপর বেগুনটাকে স্টোভ এ বা উনুনে পো দেবেন। দেখতে হবে যাতে বেগুন পোড়া টা ঠিকঠাক হয়। কারণ বেশি পুড়ে না যায়। বেগুন পোড়া ঠান্ডা হলে বেগুনের গায়ের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে বেগুন পোড়া, ধনে পাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাচা লঙ্কা কুচি, সরষের তেল, নুন ও পাতি লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মেখে নিলেই তৈরি বেগুন ভর্তা।